নয়াদিল্লি: ভারতের পের জঙ্গি হামলার ছক ছিল। দিল্লিতে লালকেল্লার (Redfort Blast) সামনে বিস্ফোরণের পর দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রক্তাক্ত রাজধানী। দিল্লি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২। আহত ২৬। বেশিরভাগ মৃতদেহই ছিন্নভিন্ন। ৬ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এবার দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করলেন গৌতম গম্ভীর ও শিখর ধবন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেে প্রথম টেস্ট খেলতে এই মুহূর্তে কলকাতায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। তাই দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন গৌতম গম্ভীর। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, ''দিল্লিতে বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।''
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধবন বার্তায় জানিয়েছেন, ''দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রয়াতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এছাড়া যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।''
সোমবার সন্ধেয় লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে, এই গাড়িতেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী। সেই বিস্ফোরণের জেরেই আগুন ধরে যায় একের পর এক গাড়িতে। যে গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল, সেটির চালক উমর উল নবীর ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, হরিয়ানার নম্বর প্লেট দেওয়া এই গাড়িটি সোমবার দিনভর কোথায় ছিল? বিস্ফোরণের আগে ১১ ঘণ্টা ধরে কোথায় কোথায় ঘুরেছিল গাড়িটা? সেই সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পুলিশ সূত্রে দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় হরিয়ানার ফরিদাবাদে ছিল গাড়িটি। CCTV ফুটেজে ধরা পড়েছে, ওই সময়ে ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতাল থেকে বেরোতে দেখা যায় উমরের i20 গাড়িটিকে। তারপর সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে দেখা যায়, গাড়িটি বদরপুর টোল প্লাজা থেকে দিল্লিতে ঢুকছে। আপাতত দেশজুড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে বিস্তৃত রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের নেটওয়ার্ক। ডাক্তারদের সামনে রেখে সন্ত্রাসবাদের "হোয়াইট-কলার মডিউল" চালাচ্ছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলো। মডিউলের অংশ থাকার অভিযোগে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে এই শাকিল এবং আরেক কাশ্মীরি ডাক্তার আদিল আহমেদ রাথেরও ছিল। পরে আরেক মহিলা ডাক্তারকেও আতস কাচের নিচে আনে গোয়েন্দারা।