জেনিভা: ২০১৯ সাল থেকে ভারত থেকে 'ফেরার' (fugitive) তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ (rape) ও অপহরণের (kidnapping) মতো একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। অথচ সেই নিত্যানন্দই (Nithyanand) নাকি এখন সেন্ট্রাল আমেরিকার (central america) প্রশান্ত মহাসাগরীয় (pacific coast) উপকূলে  'ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা' নামে একটি আস্ত 'দেশ' তৈরি করে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়। গত মাসে সেই দেশের দুই প্রতিনিধি রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁদের বক্তব্যও রেখে গিয়েছেন। এত কিছু কী ভাবে সম্ভব? তুমুল বিতর্কের মুখে নতুন করে বিবৃতি দিয়েছেন 'ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা'-র প্রতিনিধি। সেই নিয়ে আর এক প্রস্ত হইচই। যদিও তিনি বলছেন, তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই এই নতুন বিবৃতি। 


কোথা থেকে কী?
চার বছর ধরে ফেরার নিত্যানন্দ এই মুহূর্তে কোথায়? উত্তর স্পষ্ট নয়। এভাবে কোনও 'দেশ' তৈরি করা যায় নাকি? সেই নিয়েও ধাঁধা রয়েছে। তবে কানাঘুষো যা শোনা যাচ্ছে তাতে এক প্রায় অবিশ্বাস্য আখ্যান উঠে আসার জোগাড়। নিত্যানন্দ নাকি সেন্ট্রাল আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের একটি দ্বীপপুঞ্জ কিনে নিয়ে তাঁর 'ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা' নামে 'দেশটি' তৈরি করেছেন। কোথা থেকে টাকা পেলেন? কার থেকে কিনলেন? ভারত সরকার জানল না? এতদিন কেউ কিছু টের পেল না? সবচেয়ে বড় কথা, যে 'দেশ' নিয়ে এত হইচই সেই 'দেশ' ঠিক কোথায় তা এখনও বিশ্ব মানচিত্রের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আছে, এমন স্থির বিশ্বাস তাঁর ভক্ত ও অনুরাগীদের। এত পর্যন্ত নিয়েই কম শোরগোল ছিল না। এর উপর আবার জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রকাশ্য বৈঠক ওই 'দেশের' দুই প্রতিনিধি এসে বক্তৃতা দিয়ে যান। তার পরই বিতর্কের সুনামি যার পরই নয়া বিবৃতি।


কী দাবি?
যিনি এই বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁর নাম বিদ্যাপ্রিয়া নিত্যানন্দ। ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'হিন্দুবিরোধীদের হাতে এসপিএইচ ভগবান নিত্যানন্দ পরমাশিবমের উপরের তাঁর নিজের দেশেই অত্যাচারিত হয়েছেন। আমি শুধু এই কথাই বলতে চেয়েছিলাম। ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা ভারত সম্পর্কে অত্যন্ত উঁচু ধারণা পোষণ করে এবং এই দেশ তার কাছে গুরুপীদম।' তাঁর মতে, জেনিভায় তাঁরা যা বলেছিলেন সেই কথা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃত করা হয়েছে। হিন্দুবিরোধীরা জেনেবুঝে এই কাজ করেছে, অভিযোগ তাঁর। এতেই শেষ নয়। ভারত সরকারের কাছে এই হিন্দুবিরোধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জিও জানান তিনি। ভিডিওর শেষে নিজেকে রাষ্ট্রপুঞ্জে 'ইউনাইটেড স্টেটস অফ কৈলাসা'-র স্থায়ী প্রতিনিধি বলেও দাবি করেন বিদ্যাপ্রিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে যদিও এই ধরনের কোনও দাবিকে মান্যতা দেওয়া হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরও অনেকগুলি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। উত্তর অবশ্য একটিরও স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন:গ্রুপ ডি-র পরে এবার নবম-দশম, চাকরি গেল ৬১৮ 'অযোগ্য' শিক্ষকের