নয়াদিল্লি: শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হয়েছে। এমনকী এর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে ও সংবাদসংস্থাকে অননুমোদিত সূত্রের খবর এবং ভুয়ো তথ্য যা এখন সারা দেশে (Nimisha Priya Case) ছড়িয়ে পড়েছে তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে নিমিষা প্রিয়া এবং তাঁর পরিবারকে ভারত সরকার সব ধরনের সহায়তা করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও দেশের সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ উপায়ে এই সমস্যার সমাধানের কাজে রত ভারত সরকারও।

সাপ্তাহিক পর্যালোচনার সময় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এএনআই সংবাদসংস্থার প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘এটি আদপেই একটি সংবেদনশীল বিষয়, এই মামলায় ভারত সরকার সব ধরনের সাহায্য করছে। আর ভারত সরকারের সর্বপ্রকার চেষ্টার ফলেই নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড (Nimisha Priya Case) স্থগিত করা গিয়েছে। আমরা এই বিষয়টি আরও খুঁটিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করছি এবং সব ধরনের সহায়তা করছি।’

১৬ জুলাই নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের দিন ধার্য করা হয়েছিল যা ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল জানান যে তাঁর মৃত্যুদণ্ড সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে যে তথ্য (Nimisha Priya Case) ছড়িয়ে পড়েছে তা ভ্রান্ত ও ভুয়ো। তাঁর কথায়, ‘ আমরা সহৃদয় ইয়েমেন সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতিবেদনে যা দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যে। আমাদের তরফ থেকে আপডেট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সমস্ত রকমের ভুয়ো তথ্য থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করছি সকলকে’।

কেরালার ৩৭ বছর বয়সী নার্স নিমিষা প্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার তালাল আবদু মেহেদিকে হত্যা করেছেন ২০১৭ সালে। ২০২০ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ইয়েমেনের সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এই রায় স্থগিত করে দেয় ২০২৩ সালে। ১৭ জুলাই রণধীর জয়সওয়াল জানান যে ইয়েমেনের শরীয়া আইনের অধীনে এই মামলা (Nimisha Priya Case) চালানোর জন্য প্রিয়ার পরিবারকে ভারত সরকারের তরফে একজন আইনজীবী বহাল করা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে নিয়মিত কনসুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে।