নয়াদিল্লি: অর্থনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে নেমে এসেছে খাদ্যসঙ্কটও (Global Hunger)। ক্ষুধার জ্বালা পেটে নিয়েই দিন কাটছে বিশ্বের বড় অংশের মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে মাছ-মাংস, মণ্ডা-মিঠাইয়ের পরিবর্তে জোয়ার-বাজরার মতো সহজলভ্য শস্যের উপর নির্ভরতা বাড়িয়ে, খাদ্যসঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার জন্য গ্র্যামি বিজয়ী, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী ফালু ওরফে ফাল্গুনী শাহের (Falguni Shah) সঙ্গে হাত মেলালেন তিনি। একসঙ্গে মিলে লিখলেন 'বাজরার প্রাচুর্যতা' শীর্ষক গান (Abundance in Millets)। 


খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরে বাজরার উপর নির্ভরতা বাড়ানোর সুপারিশ জানায় ভারত। ভারতের সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় আন্তর্জাতিক ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO)। এর পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ৭৫তম অধিবেশনে তাতে সিলমোহর পড়ে। ২০২৩ সালটিকে 'ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস' ঘোষণা করা হয়। 



আরও পড়ুন: Manipur Violence: মধ্যরাতেও আগুন জ্বলল মণিপুরে, থানায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, কাঁদানে গ্যাস-রবার বুলেট ছুড়ে সামাল


বিশ্ব জুড়ে খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলা করতে এবং বাজরার উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে এর পর বিশেষ গান তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই দায়িত্ব বর্তায় ফালু এবং তাঁর স্বামী গৌরব শাহের উপর। তাতে 'অ্যাবান্ডান্স ইন মিলেটস' অর্থাৎ 'বাজরার প্রাচুর্যতা' নামে একটি গান লেখা হয়েছে। তাতে গীতিকারের ভূমিকায় ফালু এবং গৌরবের সঙ্গে যোগ দিলেন মোদিও। 


ইউটিউব-সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্নমে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে গানটি। তাতে প্রথমেই গান রচনায় মোদিকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি এবং হিন্দি, দুই ভাষাতেই লেখা হয়েছে গানটি। ইতিমধ্যেই ১৩ হাজার মানুষ ইউটিউবে গানটি শুনেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফালু বলেন, "আমার স্বামী গৌরব শাহ এবং আমার সঙ্গে মিলে গানটি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।"


ফালু জানিয়েছেন, বাজরার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতেই এই গান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। খাদ্য হিসেবে বাজরার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোই নয় শুধু, কৃষকদের বাজরা চাষে উৎসাহিত করা এবং খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন।


ফালুকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন মোদিও। তিনি জানিয়েছেন, বাজরা, যাকে শ্রী অন্নও বলা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্য়ন্ত উপকারী। সুস্থ থাকতে বাজরার বিকল্প নেই। এই গানটির মাধ্যমে সৃজনশীলতাকে খাদ্য় নিরাপত্তা এবং অনাহার নির্মূলের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।