শ্রীনগর : জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা হয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, বারামুল্লা জেলায় মোতায়েন বাহিনী তাদের সেই চেষ্টা রুখে দেয়।


দিনকয়েক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই হয়। গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৫ ভারতীয় জওয়ান। রাজৌরির কান্দি ফরেস্টে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশির সময় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৫ জওয়ান শহিদ হন। আহত জওয়ানদের ভর্তি করা হয় উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে।


সূত্র মারফত জানা যায়, রাজৌরির কান্দি এলাকায় জঙ্গি আনাগোনা রয়েছে। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সকালে টোটা গালি এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে হামলার ঘটনায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। জঙ্গিদের খোঁজে সেনার একটি দল গুহায় প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ছুড়ে মারে। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই সেনার। বাকিদের গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেনার তরফে জানানো হয়, আহত তিন সেনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। 


জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হন এক বাঙালি জওয়ান। শহিদ জওয়ানের নাম সিদ্ধান্ত ছেত্রী। প্যারা কমান্ডো সিদ্ধান্ত দার্জিলিংয়ের পালবাজারের বাসিন্দা।২০১৯-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সিদ্ধান্ত। জঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক অপারেশনে যোগ দেন সিদ্ধান্ত। শহিদ বাকি ৪ জওয়ানের ১ উত্তরাখণ্ডের, ২ জন হিমাচলের ও ১ জন জম্মুর বাসিন্দা।


তার আগে গত এপ্রিল মাসেও জঙ্গি হামলায় শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। গুরুতর আহত হন আরও একজন। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। NIA-কে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে যে বুলেট পাওয়া যায়, তা চিনে তৈরি বলে দাবি করে সেনা। ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ এনে, ঘটনাস্থল ঘিরে চলে তল্লাশি।


সেনা সূত্রের খবর,  ভিম্বের গলি এলাকায় দুপুর ৩টে নাগাদ সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পরে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। সম্ভবত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল গাড়িটিতে। নর্দার্ন কম্যান্ডের সেনা হেডকোয়ার্টারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় তীব্র বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে, দৃশ্যমানতা কমে যায়। সেই সুযোগে জঙ্গিরা আর্মির গাড়ি লক্ষ্য করে গোলা-গুলি নিক্ষেপ করে। গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। সম্ভবত গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা।


সেনা সূত্রের আরও খবর, ওই এলাকায় জঙ্গি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পাঁচ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছিল। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। অপর এক জওয়ান হামলায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।