নয়াদিল্লি: চিনের য়ুহান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পঠনরত ৮ ভারতীয় পড়ুয়া তাঁদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করলেন। তাঁদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নিতে চলেছে, গোটা শহর কার্যত বন্ধ। এই মুহূর্তে তাঁদের ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা না করলে তাঁরা ভীষণ সংকটে পড়বেন।


এই ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গ, অসম, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও জম্মু কাশ্মীর থেকে এসেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের ডরমিটরিতে খাবার ও জল কমে এসেছে, দোকানপাট বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ, ফলে কেনাকাটাও সম্ভব না। এই য়ুহান শহর থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, এখানে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই পেরিয়েছে ১০০। যানবাহন বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা এখান থেকে চলে যেতেও পারছেন না। অসম থেকে এখানে পড়তে আসা ২২ বছরের গৌরব নাথ বলেছেন, রোগ মহামারীর চেহারা নিতে চলায় তাঁদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। দিনে ২ ঘণ্টার জন্য বার হতে পারছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। কিন্তু শহরই তো বন্ধ, যানবাহন চলছে না। ফলে শিগগিরই তাঁদের খাবার আর জল পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

তিনি জানিয়েছেন, চিনের ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রেখে চলেছে। ভারত সরকারের কাছে এখন একটাই অনুরোধ, দ্রুত তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা হোক।

আজই অবশ্য ডিজিসিএ বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন য়ুহানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে বার করে আনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে সিলমোহর দিয়েছে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানকে। তৈরি আছেন চিকিৎসকদের দল, প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা, যাত্রী, ককপিট ও কেবিন কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মুখোশও রয়েছে। এর আগেও বোয়িং ৭৪৭ উদ্ধার করেছে বিদেশে আটকে পড়া লাখো ভারতীয় নাগরিককে। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ১৯৯০-এ ইরাক ও কুয়েত থেকে ১,১১,৭১১ জনের মত ভারতীয়কে উদ্ধার করে এই বিমান। এটি বিশ্বরেকর্ড। এছাড়া ২০১১-য় লিবিয়া থেকে বার করে আনা হয় ১৫,০০০ ভারতীয়কে, ২০১৫-য় ৩,৬১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধারের নির্দেশ দেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজ। সেই প্রক্রিয়ার নাম ছিল অপারেশন রাহাত।