নয়াদিল্লি: প্রথম পর্যায়ের শুরুতে ৩৭৫ জন, তারপর ৭৫০ জন। সব মিলিয়ে ১০০০-এর বেশি মানুষের ওপর শুরু হতে চলেছে দেশের প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষার প্রথম পর্যায়। দায়িত্বে রয়েছে আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেক। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই এই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার সবুজ সংকেত দিয়েছে।


এই পরীক্ষার জন্য যে ১২টি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট বাছা হয়েছে, তাদের মধ্যে এইমস, পটনায় এ সপ্তাহেই মানব শরীরে টিকা পরীক্ষা শুরু হবে। এ সপ্তাহের শুরুতে এইমস, পটনার সুপারিনটেন্ডেন্ট সিএম সিংহ বলেন, ২ দিনের মধ্যে শুরু হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, এ নিয়ে তাঁরা কিছু ফর্মালিটি শেষ করার পথে।

সুখবর হল, অন্যান্য প্রাণীর শরীরে এই টিকা পরীক্ষা করে আশাপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে। এবার তা প্রবেশ করেছে টিকা পরীক্ষার শেষ ধাপ, অর্থাৎ হিউম্যান ট্রায়ালে।  প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষা চলবে ১,০০০-এর বেশি মানুষের ওপর, দ্বিতীয় পর্যায়ে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। গবেষণার ফল কী হতে চলেছে, তা নির্ভর করছে এই পরীক্ষার ফলের ওপর। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য মোটামুটি সময়সীমা ৬-৮ মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে, এই পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে।

গতকাল হায়দরাবাদের নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এনআইএমএস জানিয়েছে, মানব শরীরে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণকারীদের নাম তালিকাভুক্ত করা শুরু করেছে তারা।

২২-৫০ বছর বয়স্ক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিদের ওপর চলবে এই ট্রায়াল। আন্তর্জাতিক ট্রায়ালও চলছে এই বয়ঃসীমার মানুষের ওপর। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত, কারণ, ৭০-৮০-র ঘরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ওপর এই টিকার কী প্রভাব হবে এখনও পরিষ্কার নয়। তুলনামূলকভাবে কমবয়সীরা যদি এতে সেরেও ওঠেন, বয়স্কদের এই টিকা আদৌ সারাতে পারবে কিনা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না।