কলকাতা: দেশের বেকারত্বের হার গত তিন মাসে সর্বোচ্চ হার ছুঁয়ে ফেলল মার্চে, জানিয়েছে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা CMIE। গত মাসে ওই হার পৌঁছে যায় ৭.৮ শতাংশে। তার আগের মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। ১ লক্ষ ৭৮ হাজার পরিবারের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেশের কর্মক্ষম সম্প্রদায় সম্পর্কে আভাস দেয় CMIE। গত ডিসেম্বরে তা ৮.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ ১৬ মাসের নিরিখে ডিসেম্বরের বেকারত্বের হারই ছিল সর্বোচ্চ, দাবি করে CMIE। জানুয়ারিতে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও ফের বাড়তে থেকেছে ওই হার।
কী জানা গেল?
বেসরকারি সংস্থার হিসেব বলছে, রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে গত মাসে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ছিল হরিয়ানায়। পরিসংখ্যানগত ভাবে তা ২৬.৮ শতাংশে পৌঁছে যায়। এর পরেই ছিল রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং সিকিম। সর্বনিম্ন বেকারত্বের হারের নিরিখে এগিয়ে ছিল উত্তরাখণ্ড, ছত্তিসগড় এবং পুদুচেরি। CMIE-র এমডি মহেশ ব্যাসের ব্যাখ্যা, মার্চে বেকারত্বের হার তিন মাসের নিরিখে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ 'লেবার পার্টিসিপেশন রেট'। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে তা পড়ে গিয়েছে। বস্তুত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেই ভারতের 'লেবার পার্টিসিপেশন রেট' ৪০ শতাংশের নিচে পড়ে যায়। অথচ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই হারই ছিল ৪০.১ শতাংশ। কোনও দেশের অর্থনীতিতে সেই সময়ে সক্রিয় যে কর্মক্ষম অংশ থাকে, তার পরিমাপই ধরা পড়ে 'লেবার পার্টিসিপেশন রেট'-এ।
আর কী...
CIEL HR Services নামে আর একটি সংস্থা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি, অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে উৎসব-পরবর্তী মরসুমে রিটেল, সাপ্লাই চেন, লজিস্টিকস, ফিনানশিয়াল সার্ভিস এবং ই-কমার্সের মতো সেক্টরে চাকরির সুযোগ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি আইটি সংস্থা এবং স্টার্ট আপগুলিও নতুন করে কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বরে চরমে পৌঁছেছিল 'লেবার পার্টিসিপেশন রেট'। বেকারত্বের হারের সঙ্গে অদ্ভূত সামঞ্জস্য ছিল এই হারের। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে CMIE-র এমডি মহেশ ব্যাসের ব্যাখ্যা, আসলে ওই সময়ে কাজের বাজারে যাঁরা ঢুকছিলেন তাঁদের জন্য নতুন সুযোগ করে দেওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে এই জায়গায় পৌঁছয় বেকারত্বের হার। তবে নতুন বছর অর্থাৎ জানুয়ারি মাস শুরু হতেই ছবিটা বদলাতে শুরু করেছিল। কিন্তু স্থায়ী হল না।
আরও পড়ুন:'আই লাভ কেওড়াতলা মহাশ্মশান'! মুখ্যমন্ত্রী বললেন 'মিথ্যে কথা'