লন্ডন: স্বাস্থ্য (health), শিক্ষা(education), পরিবেশ(environment) এবং প্রযুক্তি (technology)। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এই চারটি ক্ষেত্রে 'সাসটেনেবল' ভবিষ্যৎ (sustainable future) গড়তে  যে সব সংস্থা নিরলস ভাবে ও সম্পূর্ণভাবে নিজ উদ্য়োগে কাজ করে চলেছে, এবার 'ইন্দো-ব্রিটেন লিডারশিপ সামিট-র' (Indo UK Leadership Summit) ফোকাসে রইল তারাই। গত ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এই শীর্ষবৈঠক হয়েছে। 'ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস-র' সঙ্গে 'কামকাস হেলথকেয়ার'-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শীর্ষবৈঠকেই মূল লক্ষ্য ছিল একটাই। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়ানো।


কী হল?
শীর্ষবৈঠকের প্রথম দিন ছিল 'মন্টকাম রয়্যাল লন্ডন হাউস'-এ। কামকাস ক্লিনিক' এবং 'ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস-র'(লন্ডন) চেয়ারম্যান দিবাকর সুকুল সেদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। তবে তিনি একা নন। সহ-আয়োজকের ভূমিকায় ছিলেন বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাক শর্মাও। ব্যবসায়িক জগতের বিশিষ্টদের সঙ্গে শিক্ষাবিদদের আলোচনার সূত্রধর ছিলেন এঁরা দুজনই। কী ভাবে শিক্ষার সঙ্গে ব্যবসার যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, সেটাই লক্ষ্য ছিল এই আলোচনার। উলরিখ বার্ক, জন রেনফোর্ড, লিন্ডা স্পেডিং, ডেভিড রাসেল, বিজর্ন এবং সন্দীপ মারওয়া-র মতো শিক্ষাজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এসেছিলেন সেদিনের অনুষ্ঠানে। উদ্যোগপতির এগিয়ে চলায় কী ভাবে প্রাচীন বৈদিক রীতিনীতি থেকে আধুনিক কোয়ান্টাম ফিজিক্স, ম্যানেজমেন্টের গোড়ার কথা কাজে লাগতে পারে, সবই আলোচনা হয় সেদিন।


আর কী শোনা যায়...
ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে নতুনতর এবং আরও গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে গোটা বিশ্বের তরফে যে ইতিবাচক প্রয়োজন, সে দিকে বার বার জোর দেওয়া হয়েছে এই শীর্ষবৈঠকে। তবে বৈঠকে যে শুধুই গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়েছে, তা নয়। সেখানে সমস্ত আমন্ত্রিত ও অংশগ্রহণকারীরা একেবারে শেষে 'বিউটি রিলে-লন্ডন' নামে অন্যতম জনপ্রিয় কসমেটিক ব্র্যান্ডের সামগ্রী-ভর্তি গুডি-ব্যাগ পান। শেষ সেশনটি 'হাউস অফ কমনস'-এ সঞ্চালনা করেন এমপি বীরেন্দ্র শরন। 'ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস-র' একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও হয়েছে সে দিন। মন্টক্যাম হোটেলস-র এমডি রমেশ অরোরা, উলরিখ বার্ক, মারওয়া স্টুডিওসের সন্দীপ মারওয়া, লিন্ডা স্পেডিং, অধ্যাপক ম্যাক শর্মা-সহ বিশিষ্ট অনেকেই সম্মানিত হন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উগান্ডার হাই কমিশনার নিমিশা মাধবনি, মিডিয়া উদ্যোগপতি মণীশ তেওয়ারি। দুদিনের এই শীর্ষবৈঠকে প্রচুর নতুন ভাবনার হদিশ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে 'ইন্দো-ব্রিটেন লিডারশিপ সামিট' সফল। মনে করছেন আয়োজকরা।  


আরও পড়ুন:হড়পা বানে জলের স্রোতে বাঁচাই কঠিন, বলছেন নদী বিশেষজ্ঞরা, পুলিশ-প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা