ইন্দোর: সৌর কুকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো করেই, তা মহিলাদের বাঁচায় ধর্ষণ, নির্যাতন, হিংসার হাত থেকে। বললেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত জনক ম্যাকগিলান পাল্টা (Janak McGilligan Palta)। ইউনাইটেড নেশনস ক্লাইমেট ডায়ালগস ২০২০-তে তিনি এ কথা বলেছেন।
অনলাইনে হওয়া এই সম্মেলনে জনক বলেন, সৌর কুকার তৈরির আগে বেশিরভাগ গ্রাম্য মহিলা রান্না করতেন কাঠকুটো জ্বালিয়ে। অর্থাৎ কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া তাঁদের সহ্য করতে হত, তার আগে গভীর জঙ্গলে যেতে হত কাঠ আনতে। এ জন্য দীর্ঘ সময়, এমনকী রাতও তাঁদের কাটাতে হত জঙ্গলে। এই সময়টা অনেকে ধর্ষিতা হতেন, আক্রমণের শিকার হতেন। আবার ভারী কাঠের বোঝা মাথায় বইতে বইতে অনেকের গর্ভপাত হয়ে যেত। জনক ও তাঁর স্বামী প্রয়াত জিমি ম্যাকগিলান সৌর কুকারের ব্যবহার চালু করেন। এর ফলে রান্নার জন্য গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে, মহিলারাও বেঁচেছেন নির্যাতনের হাত থেকে।
জনক বলেছেন, জিমি ম্যাকগিলান সেন্টার থেকে বিনা মূল্যে ৮৬,০০০-এর বেশি সৌর কুকার ও তা ব্যবহারের পদ্ধতি বিলি করেছেন তাঁরা। ৩৫ বছরেরও বেশি আগে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে আসার পর মধ্য ভারতের গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বারলি ইনস্টিটিউটের গ্রাম্য আদিবাসী মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন মহিলাদের সঙ্কটগুলি, মনে হয়, সৌর কুকার বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে।