কলকাতা: ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) নতুন সদস্য। ধারে-ভারে টেক্কা দিতে পারে যে কোনও আধুনিক যুদ্ধজাহাজকে। নাম-  আইএনএস বিন্ধ্যগিরি (INS Vindhyagiri)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে (Garden Reach Shipbuilders and Engineers Limited) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উপস্থিতিতে জলে নামল আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ, ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে একটি সরকারি বার্তায় এমনটাই জানানো হয়েছে।  


জানা-অজানা কথা:


বিন্ধ্যগিরি, কর্নাটকের একটি পর্বতমালা। তারই নাম অনুসারে নাম দেওয়া হয়েছে আইএনএস বিন্ধ্য়গিরি। পিটিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোজেক্ট ১৭এ প্রকল্প (Project 17A Class)-এর অধীনে ৬ নম্বর জাহাজ এটি।
এর আগে আইএনস নীলগিরি, উদয়গিরি, হিমগিরি, তরগিরি, দুনাগিরি- এই নামে জাহাজ হয়েছে।


পরিকাঠামোর দিক থেকে অত্যন্ত আধুনিক এই জাহাজ। পুরনো আইএনএস বিন্ধ্যগিরি ফ্রিগেট-এর স্মৃতির উদ্দেশ্য়ে সম্মান জানিয়ে এমন নাম। আগেরটি ছিল Leander Class ASW Frigate. ৩১ বছর ধরে কাজ করার পরে ডিকমিশনড হয় ওই আইএনএস বিন্ধ্যগিরি।


প্রোজেক্ট ১৭-এ ক্লাস ফ্রিগেটগুলি, Project 17 ক্লাস ফ্রিগেট- (শিবালিক ক্লাস) এর ফলো-অন


একাধিক অতি-আধুনিক সুবিধা রয়েছে এখানে। স্টেলথ ফিচার, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক সেন্সরে সাজানো এই ফ্রিগেট।


এর ডিজাইন তৈরি হয়েছে ভারতেই। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধাজাহাজ ডিজাইন তৈরি বিভাগ (Warship Design Bureau) এটির ডিজাইন তৈরি করেছে। 


প্রোজেক্ট ১৭-এ ক্লাসের জাহাজগুলি তৈরির জন্য যা যা সামগ্রী প্রয়োজন হয়েছে তার ৭৫ শতাংশ ভারতীয় সংস্থা থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাও রয়েছে ওই তালিকায়। 


বিন্ধ্যগিরি ফ্রিগেট তৈরির জন্য যে বিশেষ স্টিল লেগেছে তা সরবরাহ করেছে SAIL.


যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধজাহাজ তৈরির জন্য যাতে বিদেশের উপর নির্ভরতা কমানো যায়, তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চলছে। প্রোজেক্ট ১৭-এ ক্লাস ফ্রিগেট তৈরি তারই একটি অংশ। 


 



এদিন কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স থেকে এই ফ্রিগেটে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের নৌ-নিরাপত্তার সব দিক খতিয়ে দেখা এবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য সবরকম কাজ করে ভারতীয় নৌবাহিনী, বলেন রাষ্ট্রপতি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।


আরও পড়ুন: ৪.৪ থেকে ১৩ লক্ষ! আয় বেড়েছে মধ্যবিত্তের, দাবি SBI রিপোর্টে