নয়াদিল্লি: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তরাই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই জানান দিচ্ছে। মধ্যবিত্তের আয়বৃদ্ধির ফলেই এমনটা সম্ভব হচ্ছে বলে এবার উঠে এল গবেষণায় (SBI Research Report)। আয়কর রিটার্নের পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা চালিয়ে এমনই দাবি করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। (Middle Class Average Income)


স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ওই গবেষণা চালানো হয়। ‘Deciphering Emerging Trends in ITR Filing Report’ শীর্ষক ওই গবেষণাপত্রেই মধ্যবিত্তের আয়বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিগত ১০ বছরে নিম্ন মধ্যবিত্তরা, উচ্চবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।


পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণির বার্ষিক গড় আয় ছিল ৪.৪ লক্ষ টাকা। ২০২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ১৩ লক্ষ টাকা হয়েছে। নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন বহু মানুষ। ফলে  গড়া হারেও দেখা গিয়েছে এর প্রভাব। ২০৪৭ সাল আসতে আসতে মধ্যবিত্তদের আয় আরও সাত গুণ বাড়বে বলে দাবি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Gold Price Today : লক্ষ্মীবারে সস্তা হল সোনা, বাংলায় আজ সোনার দাম কত হল?


এর সপক্ষে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০১১ অর্থবর্ষে যে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ আয়কর রিটার্ন জমা দেন, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশেরই বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ২০২২ অর্থবর্ষে যে ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ আয়কর জমা দেন, তার মধ্যে ৬৪ শতাংশের বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষ নিম্নবিত্তদের জন্য ধার্য আয়ের বন্ধনী থেকে বেরোতে পেরেছেন।


আরও একটি ইতিবাচক দিক ধরা পড়েছে ওই রিপোর্টে। এমনিতে বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষের নীচে হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আয়কর দিতে হয় না। জমা দিতে হয় না আয়কর রিটার্নও। কারণ করের আওতায় পড়েন না তাঁরা। ২০১১ অর্থবর্ষে এমন মানুষের হার ছিল ৮৪.১০ শতাংশ। ২০২২ অর্থবর্ষে তা ৬৪ শতাংশে এসে ঠেকে।


শুধু তাই নয়, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪৭ সাল নাগাদ মধ্যবিত্ত শ্রেণির গড় বার্ষিক আয় ৪৯.৭০ লক্ষে গিয়ে পৌঁছবে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ততদিনে আরও ২৫ শতাংশ নিম্নবিত্তও বার্ষিক ৫ লক্ষ আয়ের বন্ধনী থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন।


SBI-এর ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৪৭ সাল আসতে আসতে ভারতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। ২০২৩ অর্থবর্ষে যেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ৫৩ কোটি। ২০৪৭ সালে তা বেড়ে ৭২.৫ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে আশা। করদাতা মানুষের সংখ্যাও বেড়ে ৭ কোটি থেকে ৪৮ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে আশা করা হচ্ছে।