মুম্বই: লকডাউনে নানা ভাবে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়াদের বাসে, ট্রেনে, এমনকী কোনও ক্ষেত্রে বিমানেও বাড়ি পাঠানোর টিকিটের ব্য়বস্থা করেছেন সোনু সুদ। বলতে গেলে, সমাজসেবার নতুন মাপকাঠি ঠিক করে দিয়েছেন। এবার তাঁকে দেখে নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি গ্রামের বাসিন্দারা।
ট্যুইটারে একজন লিখেছেন, সোনু সুদের অনুপ্রেরণায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলার দুটি গ্রামে ঠিক হয়েছে, বাসিন্দারা নিজেরাই স্বনির্ভর হবেন। ১৯৪৭ সাল থেকে পাহাড়ের মাথায় গ্রামের লোকজন একটা রাস্তা বানানোর জন্য় স্থানীয় সরকারকে অনেক আবেদন নিবেদন করলেও কাজ না হওয়ায় নিজেরাই ঠিক করেছেন, প্রতিটি পরিবার ২ হাজার করে টাকা দিয়ে রাস্তা বানাবেন। রাস্তা নির্মাণের একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন তিনি। আরও লিখেছেন, আজ পর্যন্ত সালুর মন্ডলের চিন্তামালা, কোডামা গ্রামের প্রায় ২৫০ লোকের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটাই-ডোলি। গর্ভবতী মহিলাদের জরুরি পরিস্থিতিতে এর ওপরই ভরসা করতে হয়। এই ছবিটা দু বছর আগের। বিপন্ন মহিলাটিকে ১২ কিমি রাস্তা বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ টাকা (দুটো লোন আর পরিবারপিছু ২০০০ টাকা) উঠেছে। গ্রামবাসীরা ৪কিমি ঘাট রোড তৈরির জন্য পাশের রাজ্য় ওড়িষা থেকে জেসিবি ভাড়া করে এনেছেন। তাঁরা সোনু সুদকে দেখে উদ্ধুদ্ধ হয়ে মনে করেছেন, নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য অন্যের ওপর ভরসা করে কোনও লাভ নেই। গ্রামবাসীদের সঙ্গে রাস্তা তৈরির কাজে যোগাযোগ রাখছেন, এমন এক স্থানীয় ব্যক্তির সাক্ষ্য়ও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।


ভিডিওটি রিট্যুইট করে সোনু কথা দিয়েছেন, আমি তোমাদের কাছে শীগগিরই গিয়ে দেখা করব। তোমরা গোটা দেশের অনুপ্রেরণা।
এদিকে সোনু ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় আটকে পড়া কয়েকজন ছাত্রের দেশে ফেরার বন্দোবস্ত করে ট্যুইট করেছেন, চলো ঘর চলে। নিজের বাড়ি, দেশ, প্রিয়জনেদের কাছে ফেরার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।



এখানেই শেষ নয়, বলিউডের গন্ডি পেরিয়ে আমজনতার মন জিতে নেওয়া সোনু প্রবাসী রোজগার কর্মসূচির মাধ্যমে
নয়ডায় জামাকাপড়ের কারখানায় কাজের ব্যবস্থা হওয়া ২০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের থাকার আয়োজনও করলেন।