নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের দিকে তাই তাকিয়ে রয়েছেন গৃহস্থ থেকে ব্যবসায়ীরা। বাজেটের আগে বিভিন্ন খাতে সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে পারে বলে বাড়ছে প্রত্যাশা। তবে নির্বাচনের আগে যেহেতু কয়েক মাসের জন্যই এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট কার্যকর থাকবে, তাই বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন না-ও ঘটতে পারে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। (Interim Budget 2024)
২০২৪-'২৫ অর্থবর্ষের প্রথম কয়েক মাসের অর্থনৈতিক রূপরেখা আজ সংসদে তুলে ধরবে কেন্দ্র। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকার হাতই দেবে না, কোনও সংশোধন ঘটানো হবে না বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কোন কোন ক্ষেত্রে কোনও রদবদল না ঘটতে পারে, তারও ইঙ্গিত মিলেছে। (Budget 2024 Expectations)
১) নির্বাচনের বছরে পেশ করা অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে নিয়ম-নীতিতে সাধারণত কোনও পরিবর্তন ঘটানো হয় না। নির্বাচনে যেহেতু আর কয়েক মাস বাকি, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোনও নয়া নীতি চালু হওয়া বা নীতি-নিয়মের সংশোধন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দীর্ঘমেয়াদি কোনও প্রকল্পের ঘোষণা না করে, এখনও পর্যন্ত সরকার কোন খাতে, কত টাকা খরচ করেছে, তারই খতিয়ান তুলে ধরতে পারেন সীতারামন।
২) বাজেট মানেই করছাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন দেশবাসী। কিন্তু এই বাজেট পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তাই সাধারণ মানুষ বা কর্পোরেট সংস্থাগুলির করছাড়ের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লোকসভা নির্বাচন মিটলে যে সরকার ক্ষমতাদখল করবে, তাদের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
৩) নির্বাচনের আগে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারে কেন্দ্র। তবে নতুন কোনও প্রকল্পের ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ সেক্ষেত্রে সরকারকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে। নির্বাচনের পর সরকার পাল্টালে, সেই প্রতিশ্রুতি অর্থহীন হয়ে পড়বে। আবার বর্তমান ই সরকারই যদি ক্ষমতায় ফেরে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতিরক্ষা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। তাই নয়া প্রকল্পের ঘোষণা এড়িয়ে যেতে পারে সরকার।
৪) বাজেটের ঘাটতি পূরণ বরাবরই লক্ষ্য সরকারের। কিন্তু তার জন্য একত্রীকরণের প্রস্তাব অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে না তোলার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে সাধারণত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়াই দস্তুর। বরং অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা ধরে রাখারই পক্ষপাতী সরকার।
৫) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিতেও কোনও রদবদল না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত সাধারণত পূর্ণাঙ্গ বাজেটেই তুলে ধরা হয়।