নয়া দিল্লি : বিশ্বে বিভিন্ন ইস্যুতে অবদান রয়েছে আদিবাসীদের। তা সে পরিবেশ সংরক্ষণ হোক বা অন্য কিছু। সব ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে তাঁদের। তাতে সাধুবাদ জানাতে প্রতি বছর ৯ অগাস্ট পালিত হয় বিশ্ব আদিবাসী দিবস । এছাড়া সচেতনতা এবং আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করতেও দিনটি উদযাপন করা হয়।
নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে আদিবাসীদের। রয়েছে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যও। এবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসের থিম- “Leaving no one behind: Indigenous peoples and the call for a new social contract.”
এই দিনটি উদযাপনের ইতিহাস
১৯৯৪ সালে ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৯ অগাস্ট দিনটিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আদিবাসীদের দিন হিসেবে পালন করা হবে। ১৯৮২ সালে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের আদিবাসীদের ওপর ওয়ার্কিং গ্রুপ দিনটিকে স্বাকীৃতি দিয়েছিল।
এছাড়া রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বের আদিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৯৩ সালকে। সেই বছরেই বিশ্বের আদিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক যুগ ঘোষণা করা হয়। যা শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে। আদিবাসীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক যুগ ঘোষণা করা হয় ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালকে।
থিম
এবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসের থিম- “Leaving no one behind: Indigenous peoples and the call for a new social contract.” উল্লেখ্য, এখানে 'সোশ্যাল কনট্র্যাক্ট' বলতে একটা অলিখিত চুক্তির কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উপকারিতা পেতে সমাজ পারস্পারিক সহযোগিতা করে। অনেক দেশেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আদিবাসীরা প্রান্তিক শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। সেসব জায়গায় কখনোই তাঁদের এধরনের সামাজিক চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।
তাৎপর্য
এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য দিনটি পালিত হয়। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে আদিবাসীদের যে সাফল্য ও অবদান রয়েছে তার স্বীকৃতি হিসেবেও দিনটি উদযাপিত হয়।