ইউনিসেফের তথ্য জানাচ্ছে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে জন্মানোর কথা ১৪ কোটি নবজাতকের। তাদের গড় আয়ু হওয়ার কথা ৮৪ বছর। আর ভারতে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রে গড় আয়ু হওয়ার কথা ৮০.৯ বছর।
২০২১ সালের প্রথম নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের কোলে থাকা ফিজি দ্বীপপুঞ্জে। আর প্রথম দিনের হিসেবে শেষ শিশুটির জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
গোটা বিশ্বজুড়ে মোট যত শিশু জন্মেচ্ছে, তার অর্ধেকই মাত্র দশ দেশে। যে তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ভারত। ইউনিসেফের তালিকা অনুযায়ী পয়লা জানুয়ারি ২০২১-এ ৫৯,৯৯৫ নবজাতক এসেছে ভারত।
তারপর যথাক্রমে রয়েছে চিন (৩৫, ৬১৫), নাইজেরিয়া (২১,৪৩৯), পাকিস্তান (১৪,১৬১), ইন্দোনেশিয়া (১২,৩৩৬), ইথিওপিয়া (১২,০০৬), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১০,৩১২), মিশর (৯,৪৫৫), বাংলাদেশ (৯,২৩৬) ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৮,৬৪০)।
ইউনিসেফের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিটা ফোরে বলেছেন, ‘নতুন সম্ভাবনার বিশ্বে পা রাখার সুযোগ নিয়ে পৃথিবীতে এল ৩.৭১ লক্ষ নবজাতক। অতিমারীর ধাক্কা কাটিয়ে নতুন এক পৃথিবী গঠনের স্বপ্ন দেখচে গোটা বিশ্ব। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠুক নববর্ষের নবজাতকরা।’
চলতি বছরেই ৭৫ বছরে পা রাখছে ইউনিসেফ। আর তাদের ভারতীয় শাখার ইন্ডিয়া নিউবর্ন অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৪-২০২০-র সুবাদে নবজাতকদের মৃত্যুহার কমাতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করা গিয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার প্রধান ইয়াসমিন আলি হকের মতে, ‘অতিমারীর কঠিন সময় আমাদের সকলকে অনেক শিক্ষাও দিয়েছে। যা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের পথচলার বিষয়ে ও শিশুদের জন্য এক সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার পথে আরও সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে আমাদের।’