রোম: নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চিনের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি। ইউরোপের এই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১,২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার নতুন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

কিন্তু ইতালিতে কেন এত ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে করোনা? একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ইতালিতে যে ৮২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের গড় বয়স ৮১ বছর বা তার চেয়ে বেশি। তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি ডায়াবেটিস, কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজ বা ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অনেকে আবার ধূমপান করতেন। সেই কারণেই তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা কমে গিয়েছিল।

গবেষক আন্দ্রিয়া রেমুজ্জি ও গিউসেপ্পি রেমুজ্জি জানিয়েছেন, ‘ইতালিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৪২ শতাংশ ব্যক্তির বয়স ৮০ থেকে ৮৯ বছর। ৩২.৪ শতাংশ ব্যক্তির বয়স ৭০ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। ৮.৪ শতাংশ ব্যক্তির বয়স ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। ২.৮ শতাংশ ব্যক্তির বয়স ৫০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। ৯০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ১৪.১ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৮০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ মহিলা। মৃত মহিলাদের গড় বয়স ৮৩.৪ বছর এবং পুরুষদের গড় বয়স ৭৯.৯ বছর। মৃতদের সবারই শারীরিক সমস্যা ছিল। তাঁরা আবার সার্স নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। না হলে হয়তো তাঁদের মৃত্যু হত না।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, বয়স্ক এবং উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই গবেষণাতেও একই কথা বলা হয়েছে।