নয়াদিল্লি:চিকিৎসাধীন তিন রোগীকে ড্রাগ ওভারডোজে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে মিউনিখের হাসপাতালে যুক্ত এক নার্সের বিরুদ্ধে৷ চাঞ্চল্যকর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷প্রসঙ্গত, এমন ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে জার্মানিতে৷

জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখ শহরের একটি হাসপাতালের এক নার্স ইচ্ছা করে বেশি ওষুধ দিয়ে কমপক্ষে তিনজন রোগীর জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলার চেষ্টা করেছে৷ বুধবার এক প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ এবং প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, রোগীর জন্য নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি ওষুধ প্রয়োগ করেছেন ২৪ বছর বয়সি এই নার্স৷

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রসিকিউটর আনে লাইডিং বলেন ‘‘চিকিৎসাধীন রোগীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিলেন এই নার্স, যাতে পরে তিনি একজন গর্বিত ত্রাতা হিসেবে সকলের বাহবা আদায় করে নিতে পারেন। নার্সের অনলাইন চ্যাটের ইতিহাস ঘেঁটে এমনটাই জানা যাচ্ছে।’’ তিনজন রোগীকে হত্যার চেষ্টা সন্দেহে ওই নার্সকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছ। অভিযুক্ত নার্স অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ প্রসঙ্গত, নার্স গত জুলাই মাস থেকে মিউনিখের এই হাসপাতালটিতে কাজ করছেন৷

দু'জন রোগীর অবস্থার হঠাৎ অবনতির হওয়ায় গত শনিবার বিষয়টি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নজরে আসে৷ পরে রোগীদের রক্ত পরীক্ষায় প্রমাণ মেলে যে রোগীদের নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল৷ খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দুই সপ্তাহ আগে আরও এক রোগী একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ ৫৪, ৯০ এবং ৯১ বছর বয়সি তিনজন রোগীকে অতিরিক্ত ওষুধ দেওয়ার পরেও তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ৯১ বছর বয়সি রোগীর দশা আশঙ্কাজনক৷

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, জার্মানিতে নার্সের বিরুদ্ধে রোগীদের হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়৷ জার্মানির সবচেয়ে আলোচিত সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত নার্স নিলস হোগেলকে গত বছর ৮৫ জন রোগীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও গত মাসে এক পোলিশ স্বাস্থ্যকর্মীকে কমপক্ষে তিনজন রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশন দিয়ে হত্যার দায়ে দণ্ডিত করা হয়েছে৷