২৩৭ জন রোগীর ওপর ওই ওষুধ পরীক্ষা হয়। ১৫৮ জনকে ওষুধ দেওয়া হয়, তাঁদের শারীরিক অবস্থার তুলনা করা হয় বাকি ৭৯ জনের সঙ্গে। এক মাস পর দেখা গিয়েছে, রেমডেসিভির ওষুধটি নিয়েছেন এমন ১৩.৯ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে, বাকি ৭৯ জন রোগীর মধ্যে মৃত্য়ুর গড় ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ নয়া এই ওষুধ করোনা রোগীদের অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি।
যদিও যে মার্কিন সংস্থা ওষুধটি তৈরি করেছে, সেই গাইলিড সায়েন্সেসের দাবি, প্রকাশিত খসড়া তাদের গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ঠিকমত সময় না দিয়েই পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অতএব ওই খসড়া অসম্পূর্ণ বলে অভিযোগ করেছে তারা। তাদের দাবি, অসুখ ধরা পড়ার প্রথম দিকে যদি রেমডেসিভির দেওয়া যায়, তবে ভাল ফল মিলতে পারে।
রেমডিসিভির মূলত ইবোলার ওষুধ, ধারণা করা হয়েছিল, করোনার বিরুদ্ধেও দারুণ কাজে দেবে। জীবাণুর অগ্রগতি ঠেকাতে পারলে রক্তের প্যাথোজেনকেও অনেকটা নিষ্ক্রিয় করা যেত। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল দাবি করে, করোনা রুখতে এই ওষুধ কার্যকর হতে পারে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এই ওষুধটি করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।