মস্কো: রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফের সংঘর্ষে জড়াল আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। একটা সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিল এই দুটি দেশও। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ফের শুরু হয়েছে গোলাগুলি। আবারও আকাশে উড়ছে যুদ্ধ বিমান, ড্রোন। দুটি দেশই মূলতঃ জনপদকে নিশানা করে গোলা ছুড়ছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অধিবাসীদের বেশিরভাগই আমের্নিয়। তাই এই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আর্মেনিয়াও। এলাকার দখলদারি নিয়ে পুরনো সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চলছে কয়েক দশক ধরে। দিনকয়েক আগে নতুন করে শুরু হয় যুদ্ধ। গতকাল রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠক করে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একে অন্যকে নিহত সৈনিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার শর্তে এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে ফের লড়াই শুরু হয়ে যায়। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দাবি, তার্তার ও অগদাম এলাকায় শত্রুদেশ গোলাগুলি বর্ষণ করেছে। অন্যদিকে, আর্মেনিয়া আঙুল তুলেছে আজারবাইজানের দিকে। তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর কারাখামওয়েইলি এলাকায় আজারবাইজান হামলা চালিয়েছে।
নাগোরনা ও কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে গত ১৪ দিনের এই যুদ্ধে দুই দেশের প্রায় ১৫ হাজার সেনা ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সম্পদেরও লোকসান হয়েছে।


নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি প্রায় চার হাজার চারশো বর্গকিলোমিটারের পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও ১৯৯০-এর দশকের যুদ্ধের পর এই এলাকা আর্মেনিয়ার দখলে চলে যায়।