ঢাকা: বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদের সামনে গ্যাসের পাইপ লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ১৬ জনের। জখম ২১ জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে জখম হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।


শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কো-অর্ডিনেটর সামন্তলাল সেন জানিয়েছেন, ‘আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করেছিলেন। তিনি জখম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ নেন। তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ ব্যক্তিরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

গতকাল স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল, মসজিদের ৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র পুড়ে গিয়েছে। মসজিদের দরজা-জানলার কাচও ভেঙে গিয়েছে। সেই সময় অনেকেই মসজিদের মধ্যে ছিলেন। তাঁরা জখম হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনে ছুটে যান। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। জখম হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও দমকল বিভাগের আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, মসজিদের সামনের গ্যাসের পাইপ লাইন কোনওভাবে লিক হয়ে গিয়েছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালানোর ফলে পাইপের মধ্যে গ্যাস জমা হয়ে যায়। এর ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।