নয়াদিল্লি: এবার হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন  চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  চিঠি পাঠালেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারো। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সমস্যার মোকাবিলায় এখন এই ওষুধের ওপরই ভরসা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মোদি, বোলসোনারোর করোনাভাইরাস নিয়ে টেলিফোনে কথা হয়েছিল। কীভাবে কোভিড ১৯ অতিমারীর যৌথ ভাবে মোকাবিলা  করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন দুজনে। এবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সেই ওষুধ সরবরাহে মোদির সাহায্য চাইলেন। আর সেজন্য তিনি টেনে আনলেন  রামায়ণের হনুমানের প্রসঙ্গ।


হনুমান জয়ন্তীতে লেখা চিঠিতে তিনি ভারতের তাঁর দেশকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন  পাঠানোর সঙ্গে রামায়ণে  লক্ষণের জীবন বাঁচাতে হনুমানের সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসার তুলনা করেন।  লেখেন, ঠিক হনুমান দেবতা যেমন  ভগবান রামের ভাই লক্ষণের প্রাণ বাঁচাতে হিমালয় থেকে ঐশ্বরীয় ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ নিয়ে এসেছিলেন, যিশু যেমন অসুস্থ, দুর্বল, রোগীর কষ্ট দূর করেছিলেন, বার্তমেয়র দৃষ্টি ফিরিয়েছিলেন, সেভাবেই  দুদেশের মানুষের স্বার্থে হাতে হাত মিলিয়ে, আশীর্বাদ বিনিময় করে ভারত ও ব্রাজিল এই বিশ্বসঙ্কট  জয় করবে।

পর্তুগীজ ভাষাতেও বোলসোনারো মোদির সঙ্গে আলোচনার কথা ট্যুইট করে বলেছিলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন উত্পাদনের জন্য রসদ লাগাতার সরবরাহের ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মদতের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পাঠানো নিয়ে সুর চড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ওই ওষুধ পাঠানোর অনুরোধ না মানলে প্রত্যাঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। দাবি করেন, করোনা সংক্রমণ রোখার লড়াইয়ে ওটাই হাতের কাছে একমাত্র সমাধান।  তারপরই ভারত আংশিক হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, যার ফলে ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় ব্যবহৃত ওষুধটি করোনাভাইরাস  সংক্রমণে  ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা ও অন্য দেশগুলিতে সরবরাহের রাস্তা খুলে গিয়েছে।

সরকারি কর্তারা বলেছেন, যেসব দেশ ইতিমধ্যেই সরবরাহের অর্ডার পাঠিয়েছে, ঘরোয়া চাহিদা মেটানোর পর এবং দৈনিক পরিস্থিতি বিচার করে তাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল রপ্তানি করবে ভারত।