ব্রাসিলিয়া: ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন করোনা টিকা যত দ্রুত সম্ভব দেশে নিয়ে আসতে উঠে পড়ে লেগেছে ব্রাজিলের বেসরকারি ওষুধ সংস্থাগুলি। এই সব সংস্থার একটি অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করেছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি ৫০ লাখ করোনা টিকার ডোজের জন্য তারা আবেদন করবে। রবিবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI  কোভ্যাক্সিনের সীমিত ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয়। পরদিনই এ কথা জানিয়েছে ব্রাজিলীয় ওষুধ কোম্পানিগুলি।

ব্রাজিল সরকার আবার কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকা দেশে নিয়ে আসার। তাদের আশঙ্কা, লাল ফিতের ফাঁসে বিষয়টি আটকে গেলে ব্রাজিলে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে। ব্রাজিলে করোনায় ইতিমধ্যেই ২ লাখের কাছাকাচি মৃত্যু হয়েছে, আমেরিকার পর তারা দ্বিতীয়। দেশজুড়ে অভিযোগ, করোনা প্রতিরোধের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেনি দেশের সরকার। তাই ব্রাজিল সরকার যত দ্রুত সম্ভব করোনা টিকা আমদানি করে সঙ্কট এড়ানোর চেষ্টা করছে।

যদিও সেরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁদের পক্ষে করোনা টিকা রফতানি করা সম্ভব নয়, ভারত সরকার রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাঁদের আশা, এই কড়াকড়ি প্রত্যাহার করবে কেন্দ্র।

এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে গিয়েছে ব্রাসিলিয়াও, স্থানীয় হেলথ রেগুলেটর অ্যানভিসা নতুন বছরের শুরুতে ভারত থেকে ২০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার ডোজ আনার প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে। জানা গিয়েছে, তারা এখন কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছে যাতে ভারত সরকারকে দিয়ে রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায়। এ ব্যাপারে আসরে নেমেছে ব্রাজিলের বিদেশ মন্ত্রক।

উল্টোদিকে ভারত বায়োটেক এখনও ব্রাজিলে টিকা রফতানির জন্য অ্যানভিসার কাছে আবেদন করেনি, এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ  হয়নি তাদের। ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যাক্সিন ক্লিনিক্সের প্রধান গেরাল্ডো বার্বোসা জানিয়েছেন, দ্রুত ভারতে এসে টিকা আমদানির ব্যাপারে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করবেন তাঁরা। ব্রাজিলের বেসরকারি বাজারে ভারত বায়োটেকের টিকাই সবার আগে পাওয়া যাবে।