বেজিং: শনিবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুই প্রতিবেশী দেশের পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন মনে করে, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং মতপার্থক্য দূর করে উভয়কে সঠিক পথে অগ্রসর হতে হবে।


চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তৃতা আমরা শুনেছি। আমরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আমাদের উন্নত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শুধু দুই দেশের মানুষই উপকৃত হবেন না, বরং এই অঞ্চল তথা বিশ্বের স্থায়িত্ব, শান্তি ও  উন্নতিকে মজবুত করবে। দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের কথা চিন্তা করে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার পথে হাঁটাই হবে দু’দেশের সঠিক রাস্তা।’

চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের কথা চিন্তা করে বেজিং সবসময়ই নয়াদিল্লির সঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্বাস-সহযোগিতা বাড়াতে তৈরি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সুদূরপ্রসারী করতে উভয় দেশের মধ্যে যে সমস্যাগুলি রয়েছে, তা রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু পথে সমাধান করতে হবে।’

স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় চিনের নাম না করে মোদি বলেছিলেন, ‘দেশ এক অসাধারণ লক্ষ্য নিয়ে এক অসাধারণ যাত্রা শুরু করেছে।  চলার পথ প্রতিকূলতায় ভরা। সম্প্রতি সীমান্তে দুর্ভাগ্যপূর্ণ গতিবিধি দেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল। কিন্তু যারাই নিয়ন্ত্রণরেখা বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল, দেশের সাহসী সেনারা তাদের জবাব দিয়েছেন। বিশ্ব দেখেছে লাদাখে দেশকে রক্ষা করার প্রশ্নে ভারতের সেনার কী করতে সক্ষম। সম্প্রসারণবাদ ও সন্ত্রাসবাদ, এই দুই অশুভ আঁতাঁতের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ভারতকে।’

চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৮ অগস্ট সেনাস্তরে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ। কিন্তু উভয়েই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায়, কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি।

লালকেল্লায় মোদির বক্তৃতা প্রসঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদিকে অনেক কঠোর এবং যুদ্ধংদেহী মনোভাবে দেখা গিয়েছ। আর একটি ব্যাখাও পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বলা হচ্ছে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান দেখাতেই মোদির এমন বক্তব্য। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে তিনি কী বললেন, সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আগামী দিনে উনি কী করবেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’