করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিশ্বের অন্যান্য সব জায়গার সঙ্গে উহানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই অনলাইন ডায়েরি লেখা শুরু করেন ফ্যাং। তিনি উহানের প্রকৃত চিত্র সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত এক কোটি মানুষ তাঁর লেখা পড়েন। বিভিন্ন ভাষায় এই লেখা প্রকাশিত হতে চলেছে। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, ৬৪ বছর বয়সি এই মহিলা অন্য দেশগুলির হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। এবার এই ডায়েরিকে হাতিয়ার করে অন্য দেশগুলি বলতে পারবে, চিন ঠিকমতো করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে পারেনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে উহানে প্রথম করোনা আক্রান্তের কথা জানা যায়। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় লকডাউন। এই সময় থেকেই নিজের ক্ষোভ, রাগ, দুঃখ সহ নানারকম অনুভূতি প্রকাশ করতে শুরু করেন ফ্যাং। তিনি হাসপাতালে রোগীর ভীড়ে চিকিৎসা না পেয়ে অনেকের ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া, মাস্কের ঘাটতি, আত্মীয়দের মৃত্যুর মতো বিষয়গুলিও লেখেন। এতেই চটে গিয়েছেন চিনের অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে পশ্চিমী দেশগুলির হাতে চিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন ফ্যাং। সেই কারণেই এই লেখিকাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।