নিউ ইয়র্ক: ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। এরই মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। খাবারে অ্যালার্জি থাকলে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের অ্যালার্জি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির যদি বিশেষ কিছু খাবার বা ওষুধের বিষয়ে অ্যালার্জি থাকে, তাহলেও নিরাপদে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।


কারও খাবার বা ওষুধের বিষয়ে অ্যালার্জি থাকলে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন না। এবারও তাঁরা সেই পরামর্শ দেননি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, কারও খাবার বা ওষুধের বিষয়ে অ্যালার্জি থাকলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়। যদিও ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাঁদের সবাইকে ১৫ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁদের শরীরে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বিশেষজ্ঞরা।

এবার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের বিশেষজ্ঞরাও ভ্যাকসিনের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করলেন। অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি ইউনিটের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর তথা হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অ্যালিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমরা সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিতে চাই। আমরা সবাইকে আশ্বাস দিচ্ছি, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যে দু’টি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলি নিরাপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি যে সুপারিশ করেছে, তার ভিত্তিতেই আমরা নির্দেশিকা তৈরি করেছি। যে ব্যক্তিদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের কীভাবে নিরাপদে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কারও শরীরে যদি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে দ্বিতীয়বার ডোজ নেওয়ার আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।’

অ্যালিনা আরও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কারও অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার ঘটনা বিরল। ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ১.৩ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে।