গতকাল উহান শহর পরিদর্শনে যান চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং। এই শহর থেকেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। সেই শহর পরিদর্শন করলেন কেকিয়াং। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্বীকার করেছে, ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের পর্যবেক্ষণ ভুল ছিল। বেজিং সফরে গিয়েছেন হু প্রধান টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রেইসাস। তিনি জানিয়েছেন, ‘এখন চিনে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
চিনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেজিং থেকে তিয়ানজিনের বাস ও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করার জন্য বহু মানুষের এক জায়গায় জড়ো হওয়া এবং একসঙ্গে ভ্রমণ বন্ধ করতে চাইছে চিন সরকার। বেজিং বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং ৫৫টি সাবওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও যাত্রীর দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মনে হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে, উহান শহরে আটকে পাকিস্তানের বহু পড়ুয়া। তাঁরা দেশে ফিরতে পারছেন না। কারণ, উহান থেকে কাউকে অন্যত্র যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন পাক পড়ুয়ারা। হাফসা তায়াব নামে এক পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘অন্য দেশগুলি তাদের নাগরিকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করছে। উহানে পাঁচশোর বেশি পাকিস্তানি পড়ুয়া আছে। একজনও যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে বাকিদের বিপদ। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা হোক।’