বেজিং: করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে চিনে। হুবেই প্রদেশে মঙ্গলবার আরও ১০৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৯৭ জন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উত্সস্থল হুবেইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭৪। সবমিলিয়ে চিনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১,০১১-তে। এই ভাইরাসে সংক্রমণের কারণে হংকংয়ে একজন ও ফিলিপিন্সে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসপিএমপি-র রিপোর্ট অনুসারে, এই ভাইরাস বিশ্বের ২৪ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি।
এদিকে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই ভাইরাস মোকাবিলায় বেজিংয়ে কমিউনিটি ওয়ার্কারদের কাজ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সা হচ্ছে, এমন একটি হাসপাতালেও যান তিনি। ইউহানের প্রথমসারির মেডিক্যাল কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করেন চিনের প্রেসিডেন্ট।
সার্জিক্যাল মাস্ক পরে দেখা যায় জিনপিংকে। তাঁর শরীরের তাপমাত্রা মাপেন এক কমিউনিটি ওয়ার্কার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে হাতও নাড়েন তিনি।
দিতান হাসপাতালে মেডিক্যাল কর্মীদের জিনপিং বলেন, এই মহামারীর বিরুদ্দে লড়াইয়ে আমরাই শেষপর্যন্ত জিতব, এই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আমাদের থাকতে হবে।
সম্প্রসারিত ছুটির দিনগুলির পর হুবেই প্রদেশের মহামারীর উত্সস্থলের বাইরের অনেক লোকজন ফের দৈনন্দিন কাজকর্ম শুরু করেছেন। এরইমধ্যে ভাইরাস-মোকাবিলা সংক্রান্ত প্রচেষ্টার পর্যবেক্ষণে এলেন প্রেসিডেন্ট।
গত ২৫ জানুয়ারি জিনপিং সিপিসি-র পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে, মহামারীর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিতে হবে।