ওয়াাশিংটন: করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রাথমিক দাওয়াই হিসেবে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমি এই ওষুধকে প্রতিরোধক বলেই মনে করছি এবং আরও কিছুদিন এই অবস্থানেই থাকব। আমি নিজেও খুব কৌতুহলী। কিন্তু এটা খুব নিরাপদ বলেই মনে হচ্ছে’।


মারাত্মক সংক্রমণ এড়াতে এই ওষুধ তিনি ব্যবহার করেছেন, তা জানানোর একদিন পর এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কটাক্ষের সুরে  বলেছেন, তিনি এর ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বলেই ওই ওষুধের বদনাম হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘তাই আমি খুবই খারাপ প্রচারকারী। অন্য কেউ যদি এটা বলত, তাহলে ওরা বলতেন যে, এর থেকে আর ভালো কিছু হয় না’।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা খুবই শক্তিশালী ওষুধ এবং আমার মনে হয়, কারুর ক্ষতি করবে না, তাই আমি এই ওষুধকে আগাম প্রতিরোধক বলে মনে করছি, সম্ভবত তা ভালো এবং আমার ওপর এর কোনও প্রভাব পড়েনি’।

ট্রাম্প বলেছেন, চিকিত্সকদের কাছ থেকে এই ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ সারা বিশ্বের চিকিত্সকদের কাছ থেকেই ব্যাপক পর্যালোচনা পেয়েছে। ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের মতো দেশগুলিতে এই ওষুধ নিয়ে দারুণ গবেষণা হয়েছে। আমেরিকার চিকিত্সকরা এ ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ও এ ব্যাপারে চিকিত্সকদের মত নিয়েছেন।

বয়স্ক রোগীদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা সঠিক নয় বলে ট্রাম্পের অভিযোগ। তিনি বলেছেন, যাঁরা একেবারে মুমূর্ষু , তাঁদের এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছিল।

পৃথক এক সাক্ষাত্কারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি এই ওষুধ ব্যবহার করছেন না। তবে কোনও আমেরিকান এ ব্যাপারে কোনও চিকিত্সকের পরামর্শ নিতেই পারেন।

গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়া একটি ওষুধ ব্যবহারের জন্য বিরোধীরা অবশ্য ট্রাম্পকে নিশানা করেছেন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন।