এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে দুই দেশের বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র চাপানউতোর দেখা গিয়েছে। কিন্তু আপাতত সেই বাকযুদ্ধকে দূরে সরিয়ে জিনপিং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন যে, এই রোগের মোকাবিলায় সব ধরনের অভিজ্ঞতা ও তথ্য আমেরিকার সঙ্গে বিনিময় চালিয়ে যেতে আগ্রহী চিন।
চিনের উহান শহরে এই ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল। এরপর ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে এর আগে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বারংবার ‘চিনা ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয় চিন। তার আগে চলতি মাসের গোড়ায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছিলেন বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্র। তাঁর দাবি ছিল, মার্কিন সেনাই উহানে এই রোগ এনেছিল।
এমন চাপানউতোরের প্রেক্ষাপটে এবার দুই দেশেরনেতার গলাতেই সমঝোতার সুরই শোনা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। তাই শুক্রবার দুই নেতার মত বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জিনপিং বলেছেন, চিন-মার্কিন সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি বলেছেন, সহযোগিতার পথেই পারস্পরিকভাবে লাভবান হওয়া যেতে পারে এবং সেটাই সঠিক পন্থা।
জিনপিং বলছেন, আমেরিকা দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে সার্বিক উদ্যোগ আমেরিকা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদী। দুই দেশ করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা প্রসারে একযোগে কাজ করতে পারে।
জিনপিং জানিয়েছেন, চিনের কিছু প্রদেশ, শহর ও কোম্পানি আমেরিকাকে মেডিক্যাল সরবরাহ ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।