ফ্রাঙ্কফুট: ফেজ থ্রি ট্রায়ালের একেবারে শেষপর্বে দাঁড়িয়ে তাদের ভ্যাকসিনের ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকারিতা আগেই দাবি করেছিল মর্ডানা। এবার তারা সামনে আনল ভ্যাকসিনের দাম।


সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ স্টিফেন বানসেল জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ভেদে ২৫ থেকে ৩৭ মার্কিন ডলার দাম হবে ভ্যাকসিনের ডোজের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৮৫৫ থেকে ২৭৫৫ টাকা।

কোনও দেশ কতটা পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ কিনছে তার উপর মূল্য ঠিক হবে বলেই ইঙ্গিত তাঁর। তবে ভ্যাকসিনের ডোজের দাম ফ্লু ডোজের মতোই সাধারণ মানুষের আয়ত্বের মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আপাতত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে মর্ডানা। তারা প্রতিটি ভ্যাকসিনের ডোজ ২৫ ডলারের নীচে যাতে জনসাধারণ পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান সংস্থার প্রধান কর্তা। গত জুলাই থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাধান্য দিচ্ছে দ্রুত মর্ডানার ভ্যাকসিন পাওয়ার উপর।

গত কয়েকদিন ধরে গোটা বিশ্বে আলোচনার বিষয়বস্তু মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। মর্ডানার ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকারিতা দাবির কয়েকদিনের মধ্যে ফাইজার দাবি করেছিল তাদের ভ্যাকসিনের ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতার। তবে কোন সংস্থা দ্রুত ভ্যাকসিন বাজারে আনে সেই নিয়ে চলছে লড়াই।

মর্ডানা যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তা সংরক্ষণের জন্য লাগে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা। ভারতে পোলিও-র টিকা যে তাপমাত্রায় প্রাথমিক সংরক্ষণের দরকার হলেও পরে লাগে না। কিন্তু মর্ডানার করোনা ভ্যাকসিন আমদানী করে তা দিতে গেলে যেমনটা লাগবে। তাই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ তৈরিও চ্যালেঞ্জ এদেশে।

এদিকে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, ফাইজারের ভ্যাকসিনের দাম কিছুটা কম হতে পারে মর্ডানার থেকে। আর অ্যাস্ট্রাজেনিকা-অক্সফোর্ডের সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট যে কোভিশিল্ড তৈরির কাজ চালাচ্ছে, তার দাম হতে পারে সবথেকে সাধ্যের মধ্যে। আপাতত ইঙ্গিত, বড়জোড় ৫০০ টাকাতেই মিলতে পারে যে ভ্যাকসিন।

তবে আপাতত বিশ্বজুড়ে সবথেকে বড় প্রশ্নটা কিন্তু বজায়ই রয়েছে, কবে থেকে পাওয়া যাবে ভ্যাকসিনগুলো।