ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পদ থেকে রিপাব্লিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সেদেশের সংসদ। বিবিসি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের খসরা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার তা স্রেফ প্রয়োগের অপেক্ষায়। সেদেশের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এদিন বলেন, “দেশের গণতন্ত্রের বাজি ধরা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাধ্য করলেন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।”


বেনজির ঘোষণায় ডেমোক্র্যাটদের এই নেত্রী জানিয়ে দিলেন তাঁরা ভোটাভুটির দিকে এগোবেন। আর  সেই ভোটাভুটি হবে বড়দিনের আগেই। তিনি বলেন, “ইমপিচমেন্ট আর্টিকেলের খসরায় অনুমোদন দিয়েছি। কষ্ট হলেও আত্মবিশ্বাস এবং নিরহঙ্কার হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রেসিডেন্ট সংবিধানের অবমাননা করেছেন। ”


প্রসঙ্গত, আগামী বছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য ইতিমধ্যেই নিজের মতো ঘুঁটি সাজাতে শুরুও করেছেন ট্রাম্প। ডোমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে বিপাকে ফেলতে ইউক্রেনের সাহায্যও চেয়ে বসেন তিনি। এরই মধ্যে ফাঁস হয়ে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রসিডেন্টের ফোনালাপের অডিও টেপ। এরপরই সেই কথোপকথন নিয়ে উত্তাল হয় হাউস অব রিপ্রেসেন্টিটিভ।


সেই নিয়ে শুরু হয় তদন্তও। এবার সেই সূত্র ধরেই ভোটের আগেই ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। খুব শীঘ্রই স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সরকারি ভাবে ইমপিচমেন্টের কথা ঘোষণা করবেন বলে সংবাদ সংস্থার খবর।


এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্যুইট করে পাল্টা নিজের পদ পোক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁর বক্তব্য, ডেমোক্র্যাটরা তাঁকে ইমপিচ করতে চাইলে তা এখনই করতে পারেন, তবে তার আগে ‘ন্যায্য বিচার’ করতে হবে। আরও একধাপ এগিয় বিরোধী দলকে নিশানা করে ট্রাম্প বলেন ডেমোক্র্যাটরা ‘পাগল হয়ে গিয়েছে’।