নিউইয়র্ক: একবার, দুবার নয় তিন-তিনবার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিনটি  অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল টুইটার। দিনকয়েকের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হতে চলা ট্রাম্পের যা নিয়ে হুঁশিয়ারি এভাবে থামানো যাবে না তাঁর গলা। এমনিতেই আগেও একাধিকবার টুইটার ট্রাম্পের বিভিন্ন টুইটে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ফ্ল্যাগ করেছিল। কিন্তু এভাবে তাঁকে প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছেঁটে ফেলা চূড়ান্ত পদক্ষেপ এই প্রথম। কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন হেনস্থাও কার্যত নজিরবিহীন।


প্রথমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট @realDonaldTrump বন্ধ করে টুইটার। মাইক্রোব্লগিং সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবদক খতিয়ে দেকে সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে, তাই চিরতরে তাঁর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

টুইটারের যে ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই অবশ্য অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে উদয় হন ট্রাম্প। @POTUS তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা শুরু করেন তিনি। যেখানে টুইটারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই বলে আসছিলাম, টুইটার সংস্থা বাকস্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্দত। কিন্তু তাদের জানিয়ে দিতে চাই, তারা সফল হবেন না। আমার গলা থামানো যাবে না। যাবতীয় বক্তব্য আমি জনসমক্ষে পেশ করবই, আপনারা সঙ্গে থাকুন।

যদিও ব্যক্তিপরিসর ছেড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসরে নেমেও খুব একটা স্বস্তি মেলেনি। টুইটার দ্রুত ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টটিও চিরতরে বন্ধ করে দেয়। যে ঘটনাক্রমের পর মনে করা হয়েছিল, ট্রাম্প-টুইটারের চোর-পুলিশ খেলা হয়তো শেষমেশ থামল। কিন্তু সেই ভাবনায় জল ঢেলে ফের অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে উদয় হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দুবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও তৃতীয়বার রিপাবলিকানদের মুখ হিসেবে @TeamTrump অ্যাকাউন্ট থেকে ফের উদয় হন ট্রাম্প। যেখানে তিনি ফের টুইটার সংস্থার বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁকে চুপ করানো যাবে না বলে আরও একবার হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু এবারও কয়েক মিনিটের মধ্যে তৃতীয়বারের জন্য ট্রাম্পের তৃতীয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার।

দিন কয়েক আগে ক্যাপিটালে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের জন্য অনেকেই দায়ী করেছিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল হাঙ্গামায় ইন্ধন দিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ। সেসময় টুইটার, ফেসবুকের মতো সংস্থা সাময়িকভাবে ট্রাম্পকে ব্লক করেছিল। এবার তাদের মাধ্যম থেকেই ট্রাম্পকে ছেঁটে ফেলার পথে প্রথম কোনও সংস্থা হিসেবে হাঁটল টুইটার।