নিউইয়র্ক: জেফ বাজোসকে টপকে বিশ্বের নয়া ধনীতম ব্যক্তি এলন মাস্ক। ২০১৭ থেকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকার মগডালে ছিলেন অ্যামাজনের প্রধান বাজোস। কিন্তু ২০২০ সালের ধনকুবেরদের অর্থের খতিয়ানে বিচারে দেখা যায় অ্যামাজন প্রধানকে টপকে গিয়েছেন টেসলার সিইও মাস্ক।


এলন মাস্কের মোট অর্থের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যামাজন প্রধান জেফ বাজোসের মোট অর্থের পরিমাণের থেকে যা ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।


মাস্কের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি যা নিয়ে তাঁর মন্তব্যও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। তাঁর সংস্থা টেসলার পক্ষ থেকে মাস্কের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হওয়ার খবরও জানানো হয়। যা দেখে মাস্কের মন্তব্য, ‘অদ্ভূত বিষয়’। যার কিছুটা পরই আবার তাঁর সংযোজন ‘ঠিক আছে, এবার ফের কাজে ফেরার সময়।’



চলতি বছরে করোনা অতিমারীর ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে দেখা গিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। যে ধাক্কা কাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকেই। সেখানে একেবারে উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে মাস্কের ক্ষেত্রে।


২০২০-র শুরুর সময় তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ছিল ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিশ্বের ধনীতম প্রথম ৫০ জন ব্যক্তির তালিকাতেও ছিলেন না। সেখান থেকে মাস্কের এই ধূমকেতুর মতো উত্থানের কারণ এলন মাস্কের হাত ধরে টেসলা সংস্থার একাধিক উদ্ভাবন।


স্পেস এক্স নামে সংগঠনের মাধ্যমে নাসার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে নতুন গবেষমাযান উত্থাপন হয় মাস্কের নেতৃত্বে। বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জামসহ গাড়ি বানিয়েও নজর কাড়েন তিনি।


একাধিক উদ্ভাবনের সুবাদেই টেসলা সংস্থার শেয়ারের বাজার মূল্য বেড়ে যায় প্রায় ৯ গুণ। যার সুবাদেই স্বপ্নের আর্থিক উত্থান শুরু হয় মাস্কেরও। অন্যদিকে, মার্কিন মুলুকে বেশ কিছু অতিরিক্ত নিয়মনীতি চাপায় অল্প হলেও কমে অ্যামাজনের লভ্যাংশের পরিমাণ।


ব্যক্তিগত শিখরপ্রাপ্তি দিনে মাস্ক সঙ্গে টেনেছেন তাঁর সংস্থা টেসলাকেও। সঙ্গে তাঁর স্মৃতিচারণ, ১০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে সংস্থাটা চলার, এই ভাবনাই এসেছিল যাত্রাপথ শুরু করার সময়।