গতকাল স্থানীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ১.৫৬ মিনিটে সুকর্ণ-হাট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শ্রীবিজয়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ওড়ার চার মিনিট পরেই মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই সময় বিমানটি জাভা সমুদ্রের উপরে ছিল। বিস্ফোরণের ফলে বিমানটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বাহিনী।
বিমানটিতে ৫৬ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১০টি শিশুও ছিল। সবারই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। সমুদ্রের ধারে উদ্ধারকার্য চলছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানটির বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিদের দেহাংশও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার ভিকটিম আইডেন্টিফিকেশন বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছেন। একটি লাইফবোটের ক্যাপ্টেন ইকো সূর্য হাদি জানিয়েছেন, ‘আমরা দেহাংশ, লাইফ জ্যাকেট, বিমানের জ্বালানি, বিমানের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করতে পেরেছি।’
স্থানীয় এক মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, ‘বিমানটি ধ্বংস হওয়ার পর যখন সমুদ্রে ভেঙে পড়ে, তখন আমি নৌকা নিয়ে জলেই ছিলাম। আমার নৌকার কাছেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। আরেকটু হলে আমার নৌকায় বিমানের টুকরোগুলি এসে লাগত।’
গতকালই জানা যায়, জাকার্তার উত্তরদিকে একটি দ্বীপে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা কিছু ধাতব বস্তু উদ্ধার করেছেন। সেই ধাতব বস্তু নিখোঁজ বিমানটির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া ধাতব বস্তুগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ বিমানটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণমন্ত্রকের মুখপাত্র অদিতা ইরাবতী জানিয়েছেন, শ্রীবিজয়া এয়ারের বিমানটির জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপের পশ্চিম কালিমন্তান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাকে যাওয়ার কথা ছিল। গন্তব্যে পৌঁছতে বিমানটির ৯০ মিনিট লাগার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।