জাকার্তা: করোনার ভয়ে এখনও অনেকে বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন না। আর যাঁদের বার হতে হচ্ছে, তাঁরাও মাস্ক টাস্ক পরে থাকছেন, সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখছেন, ফেস মাস্ক পরছেন, এমনকী পিপিই কিট। চেষ্টা করছেন একটু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে, পাশের লোকের দিকে সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন, ব্যাটার করোনা নেই তো? কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার এই বাসিন্দা যা করেছেন, তার সঙ্গে বোধহয় আর কারও তুলনা হয় না। করোনা থেকে বাঁচতে গোটা একটা প্লেন ভাড়া করে ফেলেছেন তিনি।

ভদ্রলোকের নাম রিচার্ড মুলিজাদি, জাকার্তার বিখ্যাত সোশ্যালাইট। পেজ থ্রির পার্টিতে হামেশা দেখা যায় তাঁকে। তবে করোনার জন্য এখন আর বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন না। এর মধ্যে বালি যাওয়ার ভীষণ দরকার পড়ে, করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত রিচার্ড গোটা প্লেনটাই ভাড়া করে নেন। অবশ্য একেবারে একা যাননি, সঙ্গী করেছিলেন স্ত্রীকেও। রিচার্ড জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী শ্যালভিনে চ্যাং সারাক্ষণ করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ফাঁকা প্লেনে বসে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে ক্যাপশন, যতগুলো সম্ভব সিট বুক করে ফেলেছি। আরে একটা প্রাইভেট জেট ভাড়া করার থেকে তো সস্তা হল। এটাই কায়দা, বন্ধুরা।



রিচার্ডের ভয় ছিল, প্লেনে অন্য যাত্রীদের থেকে যদি তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনা ছড়ায়। তাই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংকে চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর একটি পোস্টে লিখেছেন, তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন, যাতে তাঁরা ২ জনে ছাড়া আর কেউ ওই বিমানে না ওঠেন। শুধু তাঁরা স্বামী স্ত্রী থাকতে না পারলে প্নেনেই চড়বেন না!

অবশ্য রিচার্ড মুলজাদির গল্প সকলে বিশ্বাস করতে চাইছে না। স্থানীয় এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, যে উড়ান সংস্থার টিকিট মুলজাদিরা কেটেছিলেন, সেই লায়ন এয়ার গ্রুপ জানিয়েছে, ওই দম্পতি মঙ্গলবার জাকার্তা থেকে বালির দেনপাসার গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে কেটেছিলেন শুধু ২ জনের টিকিট। তবে মুলজাদি ইন্দোনেশিয়ায় বিখ্যাত তাঁর দরাজ হাতে কেনাকাটার অভ্যেসের জন্য, তাই অনেকে তাঁর দাবি বিশ্বাস করে ফেলেছেন।