ওয়াশিংটন: ভোটের ফলাফল যে দিকেই যাক না কেন, গোটা দুনিয়া যতই জেনে যাক না কেন, দমবার পাত্র নন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন দুই আগেও তিনি দাবি করেছেন, তাঁরাই আবার ক্ষমতায় আসছেন।ভাঙলেও এখনো হার মানেননি তিনি। স্বামী যাই-ই বলুন না কেন, মেলানিয়া ট্রাম্প অন্তত এমনটা ভাবছেন না। মার্কিন মিডিয়া বরং জানাচ্ছে, আমেরিকার ‘ফার্স্ট লেডি’ এবার ঘরে ফিরতে চাইছেন!


নির্বাচনের ফলাফল এক রকম পরিষ্কার হওয়ার পর থেকেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মেলানিয়া। লোকসম্মুখে তিনি হয়তো স্বামীর কথাকে সমর্থন করছেন কিন্তু ভিতরে ভিতরে ফ্লোরিডায় পাম সৈকতে মার-আ-লাগোতে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার গোছগাছ শুরু হয়ে গেছে।শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে মেলানিয়া একটি নতুন অফিসও খুলবেন। সে জন্যই তাঁর বহু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সেখানে পাঠানো শুরু করেছেন। মেলানিয়া নাকি তাঁর সন্তান ১৪ বছরের ব্যারনকে মেরিল্যান্ড থেকে সরিয়ে ফ্লোরিডার স্কুলে পাঠানোর পরিকল্পনাও গুছিয়ে ফেলেছেন । কোন জিনিসগুলো নিউইয়র্কে ট্রাম্পের পেন্টহাউসে যাবে, কোনটা ফ্লোরিডার পাম বিচে মার–এ–লাগো রিসোর্টে নেওয়া হবে, সেসবও ঠিক করছেন ফার্স্ট লেডি।

ফার্স্ট লেডি গত এপ্রিলে মার্সিয়া লি কেলি নামের একজনকে হোয়াইট হাউসে তাঁর ইস্ট উইং কার্যালয়ে নিয়োগ করেন। মার্সিয়া এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক কার্যালয়ে কাজ করেছেন। সূত্র বলেছে, মার্সিয়ার মাধ্যমে মেলানিয়া খোঁজ করেছেন, হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তাঁর জন্য সরকারি অর্থ ও কর্মী বরাদ্দ হবে কি না। তবে মেলানিয়ার জন্য মন ভালো করা কোনও খবর ছিল না এ ক্ষেত্রে। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য অর্থ, নিরাপত্তা ও কর্মী বরাদ্দ থাকলেও কোনও ফার্স্ট লেডির জন্য এমন কোনও ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে নেই। কেবল স্বামী মারা গেলেই প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিরা বছরে ২০ হাজার মার্কিন ডলার করে অবসর–ভাতা পান।

শুধু তা–ই নয়, হোয়াইট হাউস–পরবর্তী জীবনের দিকেই মেলানিয়া এখন বেশি মনোযোগী। তিনি একটি বই লেখার কথা ভাবছেন। তবে তা আত্মজীবনী নয়।

বেশির ভাগ প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিই এ কাজ করেছেন। যেমন মিশেল ওবামা ‘বিকামিয়’ নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের স্ত্রী লরা বুশও হোয়াইট হাউস–পরবর্তী জীবনে লিখেছেন ‘স্পোকেন ফ্রম দ্য হার্ট’। দুটি বই–ই জনপ্রিয় হয়েছিল।তবে মেলানিয়া আত্মজীবনী লিখতে চান না বলে জানা গেছে। তিনি ছবিতে ভরা এমন একটি বই রচনা করতে চান, যাতে তাঁর হোয়াইট হাউসে থাকার সময়টা উঠে আসবে। হোয়াইট হাউসকে তিনি যেভাবে নতুন করে সাজিয়েছেন, তার সাক্ষ্য হবে বইটি।