ওসলো: ১৯৬১ থেকে খিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি। এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। সারা বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার বিরুদ্ধে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা চালাচ্ছে এই সংস্থা। সেই ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে ২০২০-র শান্তি পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা ওসলোয় করলেন নোবেল কমিটির প্রধান ব্রেইট রেইস-অ্যান্ডারসন।



নোবেল পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় স্বর্ণ পদক ও এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৮.২৭ কোটি টাকা)। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে এই পুরস্কার। এর আগে রসায়ন, পর্দার্থবিজ্ঞান, সাহিত্য সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে এ বছরের পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য সহায়তা সংক্রান্ত শাখা হল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। ক্ষুদা মোকাবিলা ও খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে কর্মরত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। এই পুরস্কারে মাধ্যমে নরওয়ের নোবেল কমিটি ক্ষুদার কারণে যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তাদের দিকে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইল বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে অফিসিয়াল ট্যুইটার মারফৎ জানানো হয় যে, আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা অনুসারে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বিভিন্ন দেশের সৌভ্রাতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে প্রতিদিন অবদান রাখছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বৃহত্তম বিশেষ সংস্থা হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম পিস কংগ্রেসের আধুনিক সংস্করণ। এই বার্তারর প্রসারই অভিপ্রায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের।

নোবেল প্রাইজ কমিটিকে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের কিছু অবদানের উল্লেখ করেছে
- ২০১৯ এ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সারা বিশ্বের ৮৮ দেশের তীব্র খাদ্য সংকট ও ক্ষুদার শিকার প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে।
- ২০১৫-তে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যের অন্যতম বিষয় ছিল ক্ষুদা থেকে মুক্তি। এই লক্ষ্য পূরণে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সহায়ক।
- অতিমারীর মুখে এই সংস্থা তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে।