ফাইজারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ৪৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ১০ জন করোনা আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। দু’মাস ধরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, খুব সামান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াই হয়েছে। সেটা সহজেই সেরে গিয়েছে। মাত্র ২ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা গিয়েছে। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ এখনও রয়েছে। নতুন করে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাফল্য আসায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আশার আলো দেখছেন। ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে, সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।