ম্যাঞ্চেস্টার: বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের লোকজনও ভাত খান। কিন্তু এই ভাত নিয়েই এবার আশঙ্কার কথা শোনালেন ইংল্যান্ডের গবেষকরা। ম্যাঞ্চেস্টার ও স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ভাতে আর্সেনিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুধু ভারতই না, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ ভারতীয় উপমহাদেশ এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির লোকজনও ভাত খান। কিন্তু গবেষকদের মতে, বেশি পরিমাণে ভাত খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। চাষ করার সময়ই মাটি ও জল থেকে ধানের মধ্যে আর্সেনিক প্রবেশ করে। পরবর্তীকালে ধান থেকে চাল এবং ভাত হওয়ার সময়ও থেকে যায় আর্সেনিক।

ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড পলিয়া জানিয়েছেন, ‘আমরা ইংল্যান্ড, ওয়েলশে আর্সেনিকের ফলে হৃদরোগ নিয়ে গবেষণা করেছি। এছাড়া স্থুলতা, ধূমপানের প্রভাবও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। তবে বেশি ভাত খাওয়ার ফলেই হৃদরোগ হয় কি না, সেটা এই গবেষণার মাধ্যমে বোঝা খুব কঠিন। তবে এই গবেষণার ফলে আমাদের মনে হয়েছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলশে যাঁরা ভাত খান, আর্সেনিকের ফলে তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ব্যক্তির হৃদরোগের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। যাঁরা নিয়মিত ভাত খান, তাঁদের জীবনযাত্রা, আচরণের উপরে অবশ্য হৃদরোগের আশঙ্কার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে।’

তাহলে কি ভাত খাওয়া ছেড়ে দেওয়া উচিত? হৃদরোগের আশঙ্কার কথা শোনালেও, গবেষকরা অবশ্য খাদ্যাভ্যাস বদল করার পরামর্শ দিচ্ছেন না। তাঁদের মতে, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন ধরনের চালের ভাত খাওয়া যেতে পারে। বাসমতী সহ নানা ধরনের চালের ভাত খেলে সুস্থ থাকা যেতে পারে।