করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কাজে দিতে পারে বলে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ভারত থেকে এই ওষুধ আমদানি করার উদ্যোগ নেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, করোনা প্রতিরোধে কাজে লাগবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এই ওষুধ রফতানি না করলে ভারতকে ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরেই ভারত ওষুধ রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তবে সম্প্রতি গবেষণায় জানা গিয়েছে, করোনা সারাতে কোনও কাজেই লাগছে না হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘করোনা রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বা ক্লোরোকুইন দেওয়ার পর দেখা গিয়েছে, তাঁদের হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কারণে এই ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
তবে এই পরামর্শ উপেক্ষা করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমি হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করা যাবে কি না। তিনি জানান, আমি চাইলে খেতে পারি। এরপরেই আমি এই ওষুধ খাওয়া শুরু করেছি।’
ট্রাম্প অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতেও বিশেষজ্ঞদের কোনও পরামর্শকেই খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি মাস্ক না পরেই বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক অবশ্য জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব রিপোর্টই নেগেটিভ।