বেজিং: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিলেও, পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল না বেজিং। বরং কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার উপরেই জোর দিল চিন সরকার। তবে একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও সমান উদ্যোগ নিতে হবে।


চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মৌলিক স্বার্থেই দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি বজায় রাখতে হবে। বিশ্বশান্তি ও স্থিতাবস্থার স্বার্থেও এই সম্পর্ক অত্যন্ত জরুরি। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করা উচিত। যত দ্রুত সম্ভব এই ভাইরাসকে হারিয়ে দিতে হবে। আক্রান্তদের চিকিৎসা করা এবং অর্থনীতি ও উৎপাদনকে ফের ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিনের সঙ্গে সমানভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।’

চিন থেকে করোনা সংক্রমণ সারা বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্প একাধিকবার এই সংক্রমণের জন্য চিনকে দায়ী করেছেন। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘আমরা অনেককিছুই করতে পারি। চিনের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারি। সেটা করলে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেঁচে যাবে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু আমি এখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই না।’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যেরই সংযত প্রতিক্রিয়া দিল চিন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অনেক দেশই করোনা নিয়ে চিনকে আক্রমণ করে চলেছে। ফলে বেজিংয়ের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে।