লেস্টার: একটি রাস্তার পাশ থেকে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি সরানোর দাবি জানিয়ে অনলাইনে ৬,০০০-এরও বেশি স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা পড়লেও, মূর্তিটি সরানো হবে না বলে জানিয়ে দিল ব্রিটেনের লেস্টার সিটি কাউন্সিল। পূর্ব লেস্টারের প্রাক্তন এমপি কিথ ভাজকে চিঠি দিয়ে লেস্টারের মেয়র পিটার সোলসবি আশ্বাস দিয়েছেন, বেলগ্রেভ রোড থেকে মূর্তিটি সরানো হবে না।


লেস্টারে বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির বাস। এই শহরে ২০০৯ সালে গাঁধীর মূর্তিটি বসানো হয়। এবার সেই মূর্তিটিই সরানোর দাবি ওঠে। তবে লেস্টারের মেয়র জানিয়েছেন, ‘বেলগ্রেভ রোডে যখন মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন করা হয়েছিল, তখন আমাদের কতটা গর্ব ও আনন্দ হয়েছিল, সে কথা আমার মনে আছে। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় এই মূর্তি তৈরির জন্য অর্থসাহায্য করেছিলেন। সেটা আমাদের শহরের পক্ষে গর্বের বিষয় ছিল। আমরা বাপুর জীবন উদযাপন করতে পেরেছিলাম। তিনি আধুনিক ভারত গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা ছিলেন। সারা বিশ্বেই তিনি আদর্শ। আমি আপনাদের এই আশ্বাস দিতে পেরে আনন্দিত, সিটি কাউন্সিল মূর্তিটি সরানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমি যতদিন মেয়র আছি, ততদিন মূর্তিটি সরানো হবে না।’

লেস্টার ছাড়াও লন্ডনের টেভিস্টক স্কোয়্যার ও পার্লামেন্ট স্কোয়্যার, এডিনবরার সটন পার্ক, হালের মিউজিয়াম কোয়ার্টার, কার্ডিফ বে ও ম্যাঞ্চেস্টারে গাঁধীর মূর্তি আছে। সমন্বয় পরিবার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মূর্তিগুলি তৈরিতে অর্থসাহায্য করেছে। কিন্তু লেস্টারের বেলগ্রেভ রোড থেকে মূর্তিটি সরানোর দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কাউন্সিল জানায়, শহরের সব মূর্তি, রাস্তার নাম ও ভবনের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে গাঁধীর মূর্তি সরানো হবে না বলে মেয়র জানিয়ে দেওয়ার পর সিটি কাউন্সিলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘লেস্টারের মতো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ শহরে সব সম্প্রদায়ের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আমরা রাস্তার নামের ক্ষেত্রে কোন ঐতিহাসিক ঘটনার কথা মাথায় রেখেছি, সেটা বোঝা জরুরি।’