ন’য়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার এই দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি কী, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, একমাত্র এই দেশটিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড আর্থিক সমস্যায় পড়েছে উত্তর কোরিয়া।
কুইন্টানা জানিয়েছেন, ‘এ বছরের মার্চ ও এপ্রিলে চিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য ৯০ শতাংশ কমে যায়। তার ফলে উত্তর কোরিয়ার আর্থিক পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। ভবিষ্যতে খাদ্যসঙ্কট বাড়তে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা না থাকা উদ্বেগের বিষয়। আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। উত্তর কোরিয়ার বড় শহরগুলিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পথশিশুর সংখ্যাও বাড়ছে। ওষুধের দাম আকাশছোঁয়া। বহু পরিবার দিনে দু’বারের বেশি খাবার পায় না। অনেক পরিবার শুধু ভুট্টা খেয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক পরিবার খাবারই পাচ্ছে না।’
রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য বিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র এলিজাবেথ বায়ার্স জানিয়েছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার মানুষের অবস্থা শোচনীয়। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ, এক কোটিরও বেশি মানুষের সাহায্য প্রয়োজন। অপুষ্টির ফলে উত্তর কোরিয়ার মানুষের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্ত:সত্ত্বা ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।’