দাভোস: পাকিস্তানের সম্পদ ও উন্নতির সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে খেলার মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্যের অতীত ইতিহাস তুলে ধরলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ফাঁকে প্রাতরাশের সময় তিনি বলেন, ‘ষাটের দশকে পাকিস্তান অনেক উন্নতি করেছিল। আমরা এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আদর্শ হয়ে উঠেছিলাম। আমি সেই আশা নিয়ে বেড়ে উঠেছিলাম। কিন্তু আমরা নিজেদের উন্নতি ধরে রাখতে পারিনি। পাকিস্তানে গণতন্ত্র পা রাখতে পারেনি। গণতন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন ভারত সাতগুণ বড় দেশ ছিল। কিন্তু আমরা ওদের নিয়মিত হারাতাম। হকি সহ অন্যান্য খেলাতেও আমরা ভারতের চেয়ে ভাল ছিলাম।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতারা অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সততা ছিল। তাঁরা চাইতেন পাকিস্তান দয়ালু রাষ্ট্র হোক, জনকল্যাণের জন্য সমাজ গঠিত হোক। কিন্তু আমরা সেই ভাবনা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। পাকিস্তান যে ভাবনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল, আমাদের সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলার পেশাদার দুনিয়ায় দ্বিতীয় হওয়ার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। হেরে যাওয়া দলের জন্য কোনও সমবেদনা নেই। আমার মায়ের যখন ক্যান্সারে মৃত্যু হয়, তখন আমি বুঝতে পারি, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতাল নেই। আমি যখন হাসপাতাল তৈরি করি, তখন আমাকে বলা হয়, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমি ৭০ শতাংশ চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছি। হাসপাতাল তৈরি করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়। প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। লোকজন আমাকে দেখে হাসাহাসি করত। কিন্তু ৭০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে। আমি যখন রাজনীতিতে যোগ দিই, তখনও আমাকে দেখে লোকজন হাসাহাসি করত। কিন্তু আমি লক্ষ্য থেকে সরে যাইনি। পাকিস্তানে প্রচুর সম্পদ আছে। সেগুলি কাজে লাগাতে হবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’