গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘র্যাপিড টেস্ট সহ স্বল্পমেয়াদী বিভিন্ন পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বটে, তবে এই ধরনের পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা আছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কি না, সেটা জানার জন্য দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা দরকার। আমরা প্রতি ঘণ্টায় কয়েকশো পরীক্ষা করতে পারছি। জমাট বাঁধা রক্তের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি আমরা। এই পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির রক্তের নমুনা থেকে ২৫ মাইক্রোলিটার প্লাজমা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই রক্তে কী পদার্থ ও উপাদান রয়েছে, সেটা জানা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এই পরীক্ষাব্যবস্থার পেটেন্ট নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আরও অনেক বেশি মানুষের পরীক্ষা যাতে করা সম্ভব হয়, তার জন্য বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির পাশাপাশি সরকারেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।’
গবেষকদের দাবি, অন্যান্য করোনা পরীক্ষাগুলির তুলনায় এই পদ্ধতিতে অনেক ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। সোয়াব টেস্টের তুলনায় রক্তপরীক্ষায় অনেক দ্রুত ফল জানা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসেছেন কি না, সেটাও এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। ভ্যাকসিনের কেমিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা বিশেষ কাজে লাগবে।