গত শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দায়ের করা মামলায় চিদম্বরমের জামিনের আর্জি নাকচ করে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, প্রাথমিক ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং অপরাধের ঘটনায় তাঁর ‘সক্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ ছিল। বিচারপতি সুরেশ কাইত ৭৪ বছর বয়সি চিদম্বরমের জামিনের আবেদন উড়িয়ে বলেন, এই মামলায় তিনি জামিন পেলে জনসমাজে ভুল বার্তা যাবে।
আদালত বলে, এ নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই যে, দেশের অর্থনীতিকে যারা ধ্বংস করে, সেই আর্থিক অপরাধীদের সাজা না হলে গোটা সমাজে অসন্তোষ ছড়াবে, কেননা এ জাতীয় অপরাধ গণতান্ত্রিক প্রশাসন ও জনজীবনে স্বচ্ছতার মূল ভিত্তিকেই আঘাত করে।
ইউপিএ আমলের এই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সিবিআই আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় ২১ আগস্ট প্রথম গ্রেফতার করে। পরদিন তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়। ৫ সেপ্টেম্বর তিহার জেলে তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজত হয়। সেই হেফাজতের মেয়াদ বারবার বাড়ে। ২৭ নভেম্বর বর্তমান বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২২ অক্টোবর তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আইএনএক্স মিডিয়া ইস্যুতে বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় পৃথক তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টকট (ইডি)-ও।
২০০৭ সালে চিদম্বরম কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী থাকাকালে আইএনএক্স মিডিয়াকে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) ছাড়পত্র দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ হয়েছে বলে উঠেছে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায়। আইএনএক্স মিডিয়ার মালিক পিটার মুখার্জি ও ইন্দ্রানী মুখার্জির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছেন চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি।