তেহরানেরই ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুধবার রওনা দেয় ওই জেটলাইনার, বোয়িং ৭৩৭। কয়েক মিনিটের মধ্যে তেহরানের ঠিক বাইরে তাতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরান বাগদাদে মার্কিন সেনা ঘাঁটির ওপর পরপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, তাঁদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে পাকা খবর রয়েছে, তেহরানই ইউক্রেনের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমও ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, এর পিছনে ইরানের হাত রয়েছে। কিন্তু তেহরান বারবার অস্বীকার করেছিল যাত্রীবাহী উড়ানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা। অবশেষে ইরানি বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ শরিফ টুইট করে স্বীকার করে নেন, তাঁরাই ওই ১৭৬ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী। এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ও সকলের কাছে তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি বলছে, ইরানের সংবাদমাধ্যমে সেনার যে বিবৃতি বেরিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বিমানটি তাদের একটি সংবেদনশীল সেনা কেন্দ্রের দিকে উড়েছিল তাই শত্রুপক্ষের বিমান ভেবে তাকে টার্গেট করা হয়। গোটা ঘটনা ঘটে একেবারেই ভুল করে ও অনিচ্ছাকৃতভাবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন আর না ঘটে তাই সিস্টেম উন্নত করবে তারা। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তারা দাবি করেছে।
তেহরান থেকে বিমানটি যাচ্ছিল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। তাতে ৮২ জন ইরানি, অন্তত ৬৩ জন কানাডীয়, ও ১১ জন ইউক্রেনীয় নাগরিক ছিলেন।