কটক: ওড়িশার কটকের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনৈক আইরিশ নাগরিক হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছিল, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। কিন্তু পরশু রাত থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না।

জ্বর ও আনুষঙ্গিক সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবারই ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ওই আইরিশ, সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ক্যাপিটাল হাসপাতালে। এরপর তাঁদের কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রাত থেকে ওই আইরিশের আর খোঁজ নেই। কীভাবে তিনি পালালেন তাও স্পষ্ট নয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই আইরিশ নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলাবাগ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এসসিবি মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চমতলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ওয়ার্ড। ঘটনার সময় ওই আইরিশের সঙ্গী ওয়ার্ডের চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর অবস্থা আলোচনা করতে যান। চিকিৎসককে বলেন, তাঁর সঙ্গী একতলায় অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসক তাঁকে সেখানে নিয়ে আসতে বললে দেখা যায় তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

হাত পরিষ্কার রাখা ও হাঁচি, কাশি সংক্রান্ত বিধি সম্পর্কে স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ওড়িশা সরকার। নানা দেশ থেকে ফিরে আসা ১২৯ জন ভারতীয় নাগরিকের শরীরে জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে আশঙ্কা, তাঁদের পৃথকভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে ওড়িশার কেউ এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।