নয়া দিল্লি: শুক্রবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রথমে এয়ার স্ট্রাইক করে ইজরায়েল। পাল্টা ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে জবাবও দিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই পাকিস্তান ইরানকে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলি এই তথ্য দিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ আরও তীব্র হলে পাকিস্তান ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ করবে। এর আগে, একজন ইরানি সিনিয়র সেনা আধিকারিক দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তান তাকে বলেছে যে যদি ইজরায়েল ইরানের উপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানও ইসরায়েলের উপর পারমাণবিক হামলা চালাবে। তবে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই দাবিগুলি অস্বীকার করেছেন।
সিএনএন-নিউজ১৮ শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, যদি ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ তীব্র হয়, তাহলে ইজরায়েল ইরানকে শাহিন-৩ ক্ষেপণাস্ত্র দেবে। শাহিন-৩ একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা ২,৭৫০ কিলোমিটার। সূত্র জানিয়েছে যে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং শাহিন-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জোরালো প্রমাণ রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বারবার প্রকাশ্যে ইরানকে সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন, 'আমরা সর্বতোভাবে ইরানের পাশে আছি।'
সূত্রের খবর, শাহবাজ শরিফ আরও বলেছেন যে তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে ইরানের পক্ষে আওয়াজ তুলবেন এবং এর স্বার্থ তুলে ধরবেন। সূত্র জানিয়েছে, যে শাহবাজ শরিফ ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন করেছেন।
পাকিস্তান ওআইসি দেশগুলিকে অবিলম্বে একটি বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে মুসলিম দেশগুলি ইজ রায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশগুলিকে অবিলম্বে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র বলছে যে পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য প্রচারের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছে।